জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের এই দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই। তাদের এ দেশের সরকারে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে’। তার জায়গা থেকে কিন্তু সরে আসেননি। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যকে আবারও ন্যায্য বলেছেন।’’
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। নিজেদেরকে স্বাধীন বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের তিনি, ভারত সরকারের কাছে বলেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সাহায্য করেন। অর্থাৎ, তারা একথা বলতে চান যে, ভারত সরকারের আনুকূল্যে এই সরকার টিকে আছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, ‘দেশে আজ কারা ভালো আছে? লুটেরা এলিট শ্রেণি। এই লুটেরা শ্রেণি কারা? এরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা। এক কথায় বলা যায়, এই সরকার লুটেরা সরকার। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা আমাদের সম্পদকে লুট করে নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বে আপনারা কি কখনো গুমের কথা শুনেছেন? কখনোই শোনেননি। জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা শুনেছেন? এখানে এখন তাই হচ্ছে। এভাবে বিরোধী পক্ষকে, বিরোধী মতকে দমন করার জন্য যে ফ্যাসিস্ট কায়দা, সেই কায়দায় তারা দেশকে এখন দখল করে পুরোপুরিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই পথগুলো অনুসরণ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘মিডিয়ায় উঠে এসেছে ‘আয়না ঘর’ নামে একটি টর্চার সেল আছে। সেই টর্চার সেলে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে, মানুষদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টর্চার করা হয়। দিনের পর দিন মাসের পর মাস সেখানে রাখা হয়। তারপর কাউকে কাউকে হত্যা করা হয়, আবার কাউকে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া হয়।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ কোনটা? সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের যে আত্মা, সে আত্মাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের আত্মা ছিল একটি গণতান্ত্রিক আত্মা। আমাদের এসব স্বপ্ন ছিল সমৃদ্ধের গণতন্ত্রের একটি বাংলাদেশ, একটি মুক্ত সমাজ। সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে’, বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংকটের মূলে যে সংকট সেটি কী? সেটি হছে- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে বিনা ভোটে, নির্বাচিত না হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আজ ক্ষমতায় বসে আছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক নেতা কাদের কোন চৌধুরী প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।