বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বাড়লেও, এটির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে চিন্তার জাগরণও ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন অংশে দ্রুতবর্ধমান সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব চলতি বছর তরুণদের স্বার্থের জন্য একটি বাস্তব উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, যখন দেখা যায় যে অনলাইনে অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ডিজিটাল কারফিউ-এর প্রয়োজনীয়তা ও তরুণদের মতামত
সম্প্রতি পরিচালিত একটি জরিপে উঠে এসেছে যে, দেশের ৬০% তরুণরা মনে করছেন যে, রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বা ‘ডিজিটাল কারফিউ’ জরুরি। জরিপের অংশগ্রহণকারী ৪৭% তরুণ জানান, তারা রাত ১০টার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। অনলাইন সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এ ধরনের ব্যবস্থার প্রস্তাব রেখে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটি মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হতে পারে।
Table of Contents
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার ব্যাপক বেড়ে যাওয়া এবং এর নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করার জন্য এখনই সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার। স্বাস্থ্য বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একত্রিত হয়ে ডিজিটাল কারফিউ-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বিধানগুলো চিন্তা করা উচিত।
তরুণদের উদ্বেগ: সোশ্যাল মিডিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং টিকটক, তরুণদের জীবনযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সক্রিয় ব্যবহারকারী তরুণদের মধ্যে যেসব নেতিবাচক অনুভূতি দেখা যাচ্ছে, তা উদ্বেগের বিষয়। ৭০% তরুণ বলছেন যে, তারা একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করেন। এর প্রভাব হিসেবে দেখা যায়, ৬৮% তরুণ বলেছেন যে, করোনা মহামারির সময়ে অতিরিক্ত অনলাইন সময় কাটানো তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।
এটি বোঝা যাচ্ছে যে প্রযুক্তির অপ্রতিরোধ্য গ্রহণ তরুণদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, যা বর্তমান সময়ের একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সরকারের পদক্ষেপ
সরকারের পক্ষ থেকে তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যদি মিলিতভাবে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে, তাহলে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে। ডিজিটাল কারফিউ প্রবর্তনের ক্ষেত্রে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং শীর্ষ নেতাদের মত প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য সরকারের উচিত পরিকল্পনা তৈরি করা, যাতে তরুণরা নিরাপদ এবং সুষ্ঠু পরিবেশে ডিজিটাল যোগাযোগ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া, যাতে তরুণরা অনলাইনে নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হন।
উদ্বেগের কিছু মূল পয়েন্ট:
- আমাদের তরুণদের জন্য আলাদা কৌশল প্রয়োজন: তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।
- ডিজিটাল কারফিউ প্রবর্তন: রাতের বেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ।
- শিক্ষাগত প্রোগ্রাম: তরুণদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করা।
FAQs
ডিজিটাল কারফিউ কি তরুণদের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, ডিজিটাল কারফিউ তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এটি অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ঝুঁকি কমানোর জন্য সাহায্য করতে পারে।
কিভাবে সরকারের উচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বাড়ানো?
সরকারের উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তামূলক নিয়মাবলী তৈরির মাধ্যমে তরুণদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
কেন তরুণরা ডিজিটাল কারফিউ চায়?
অনেক তরুণ অনুভব করেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাস্থ্যকর ব্যবহার কিভাবে নিশ্চিত করা যায়?
সামাজিক যোগাযোগের সময় সীমিত করা, মানসিক চাপের কথা ভাবা এবং সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা যেতে পারে।
করোনাকালীন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব কি ছিল?
কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে অনেক তরুণ বেশি সময় অনলাইনে কাটিয়েছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচক প্রভাবিত করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া কি তরুণদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং তাদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।