আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ও নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এরই মধ্যের যুদ্ধের ১২৮ দিন পার হয়েছে। তবে এখনও তা বন্ধা হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার উপর হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের মিত্ররা। রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে দুর্বল করতেই এই নিষেধাজ্ঞার জাল পেতেছে পশ্চিমা বিশ্ব। দেশটি থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি বন্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় দেশগুলো।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ফাঁদ মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা। নিজদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে তারা দাবি করছে, বর্তমানে রাশিয়ার জ্বালানি বিক্রি বেড়েছে।
অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে রাশিয়া বিশ্বে তৃতীয়। যুদ্ধের আগেও এই অবস্থানে ছিল দেশটি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে তেল রফতানি করেই রাশিয়া সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। তাদের অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির রফতানিও বেড়েছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম ১০০ দিনে ৯ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারের জীবাশ্ম জ্বালানি রফতানি করেছে রাশিয়া। অর্থাৎ গড়ে প্রতি দিন প্রায় ৯৮ কোটি ডলারের জ্বালানি অন্য দেশে রফতানি করেছে দেশটি।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কারা রাশিয়ার জ্বালানি কিনছে? কারণ রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করার অর্থ হল পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা।
সমীক্ষা বলছে, এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে চীন, তারপরই জার্মানি এবং ভারত। রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশও।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো বরাবরই তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্য মূলত রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে। দেশগুলোর প্রয়োজনের ৪১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকেই।
ইউক্রেন হামলার পর যে আড়াই হাজার কোটি ডলারের পাইপলাইন গ্যাস রাশিয়া রফতানি করেছে, তার ৮৫ শতাংশ গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে। আক্রমণ শুরু প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি রফতানি ৬১ শতাংশও হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশেই।
এই আমদানিকারকের তালিকায় রয়েছে জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো বহু নেটোভুক্ত দেশের নাম। তবে এই দেশগুলোকে আমদানিতে টেক্কা দিয়েছে চীন।
গত মে মাসে রাশিয়া থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে চীন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া থেকে আমদানি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে ভারত। যুদ্ধের ১০০ দিনে রাশিয়ার মোট রফতানি করা তেলের ১৮ শতাংশই পাঠানো হয়েছে ভারতে। সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট
বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে নরসিংদীর লাল মাটির লটকন, দ্বিগুন দাম পেয়ে খুশি চাষিরা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।