জুমবাংলা ডেস্ক : সাবমেরিন কেবল (বাঘা-১) উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশি টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি সিডিনেট কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে অনুদান প্রদান করেছে ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ)।
সাবমেরিন কেবল (বাঘা-১) উন্নয়নের মাধ্যমে সিডিনেট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে কাজ করবে। সাবমেরিন কেবল শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের মান উন্নত করবে এবং ক্ষমতা বাড়াবে। সিডিনেট ফ্লোরিডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপিটি টেলিকমকে এই সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য নির্বাচিত করেছে।
ইউএসটিডিএ ও সিডিনেট আজ (২১ মে) ষষ্ঠতম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে তাদের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেখানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ইউএসটিডিএ-এর পরিচালক এনোহ টি. ইবং বলেন, ‘ইউএসটিডিএ ইন্দো-প্যাসিফিকজুড়ে সিডিনেটের মতো অংশীদারদের সঙ্গে সাবসি কেবল প্রকল্পগুলোর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করছে, যারা নির্ভরযোগ্য সাবসি ফাইবার অপটিক কেবল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের দেশের ব্রডব্যান্ড ক্ষমতা প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এজেন্সি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী, মার্কিন বেসরকারি খাত, মার্কিন সরকারি সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সম্পদ এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমমনা ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের একটি অংশীদারত্বভিত্তিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা বাঘা-১-এর মতো প্রকল্পগুলো সাফল্যের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সাবমেরিন কেবলগুলো বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঘা-১ বাস্তবায়িত হলে কেবলটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যান্ডউইথের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে, যা নিরাপদ উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অবকাঠামোর স্থিতি বাড়াতে সাহায্য করবে। ইউএসটিডিএ-এর গবেষণা বাংলাদেশে একটি নির্ভরযোগ্য সাবমেরিন কেবল সিস্টেম স্থাপনের জন্য সবচেয়ে কৌশলগত পথ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সব সম্ভাবনা মূল্যায়নে সিডিনেটকে সহায়তা করবে।
সিডিনেটের ডিরেক্টর ডা. চৌধুরী নাফিজ সারাফাত বলেছেন, ‘বাঘা-১ বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সংযোগকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া ৫জি পরিষেবা, আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক হাইপারস্কেলারের জন্য উদীয়মান ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরো সংযুক্ত এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে এই যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘ইউএসটিডিএর সম্ভাব্যতা যাচাই বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং গুণমানের ভিত্তি স্থাপন করবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আরো সংযুক্ত হয়ে একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটি মার্কিন ব্যবসাকে সাহায্য করতে পেরে গর্বিত।’
ইউএসটিডিএ সাধারণত বৈশ্বিক অবকাঠামো এবং বিনিয়োগের জন্য অংশীদারত্ব, ডিজিটাল সংযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা অংশীদারত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সমৃদ্ধি প্রকল্পের প্রস্তুতির মতো বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকারভিত্তিক লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে গবেষণা করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।