আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করেই পাকিস্তানিসহ ৪০০-র বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে, যা নিয়ে দেশটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, নতুন নীতির আওতায় এখন থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক নির্দেশনায় কূটনীতিকদের ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভালোভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন—বিশেষত যারা আমেরিকা বা ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মত প্রকাশ করেছেন।
রুবিও বলেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো—যারা আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেন, এমন ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ রোধ করা।
এর বাইরে আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে মার্কো রুবিও দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের জন্য ইতিপূর্বে জারিকৃত সব মার্কিন ভিসাও বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে পররাষ্ট্র দপ্তর কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
রুবিও আরও হুঁশিয়ারি দেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি কোনো বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করতে চায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশকে অবশ্যই সেই ব্যক্তির প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করতে হবে। অন্যথায় সেই দেশকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও নীতিগত কঠোরতার মুখে পড়তে হবে।
এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয় এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।