আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানব পাচারের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মেক্সিকো থেকে মানবপাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) টেক্সাস রাজ্যের আদালত তাকে এই সাজা দিয়েছে।
পাশাপাশি অভিবাসীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতি ফেলে দেওয়ায় পাচারকারী ও তাদের সহযোগীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির আদালত।
মিলন হোসেন নামের ওই বাংলাদেশি নাগরিক আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যে মানব পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ওই নাগরিকের কারাদণ্ডের কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আদালতে তুলে ধরা নথিতে দেখা যায়, ৪১ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি মেক্সিকোর তাপাছুলাতে বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোতে বসবাসরত মানব পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজসে বিপুল অর্থ নিয়ে লোকজনকে যুক্তরাষ্টের সীমান্তের কাছে নিয়ে আসতেন।
পাচারের শিকার হওয়া লোকজনকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আগে মেক্সিকোর তাপাছুলার একটি হোটেলে তাদের রাখতেন। যেসব লোক যুক্তরাষ্ট্রে যেতে অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের টিকিটসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহায়তা দিয়ে মেক্সিকোর মন্টেরিতে তার সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে পাঠাতেন।
এরপর মোক্তার মন্টেরি থেকে ওই লোকজনকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে সহায়তা করতেন।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের অপরাধ বিভাগের সহকারী মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ এ পোলিট বলেন, মানব পাচাকারীরা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশের অভিবাসীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।
তিনি বলেন, মিলন হোসেনের মতো মানব পাচারকারীদের আটক করে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের মূলোৎপাটনের জন্য মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় দেশে এবং বিদেশে তার অংশীজনদের নিয়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার মার্কিন অ্যাক্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনিফার বি. লরি বলেন, এই অপরাধী মানুষের জীবনের বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করছে। তারা অভিবাসীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেন। এতে অনেক অভিবাসী আহত, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমরা সমূহ অবগত আছি। আমরা কেবল পরিবহনকারীদেরই বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো না, যারা এ কাজে সহায়তা করছেন, তারাও রক্ষা পাবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।