জুমবাংলা ডেস্ক : দেশ থেকে নিরীহ ব্যক্তিদের রাশিয়ায় পাঠিয়ে যুদ্ধদাস বানানোর কারিগর এম এম আবুল হাসান। ইউরোপের উন্নত দেশে নির্ভার জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে মূলত টাকার কল খুলে বসেন পতিত আওয়ামী লীগের এই নেতা। মানুষ বেচে তিনি বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক। নড়াইলের কালিয়ায় বানিয়েছেন তিনতলা অট্টালিকা। যুদ্ধদাস বানানোর এই কারিগর সম্পর্কে সরেজমিন অনুসন্ধান করেছে কালের কণ্ঠ। প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোটি টাকা ঢেলেছেন। এলাকার মানুষের কাছে ‘দানবীর’ পরিচিতি পাওয়া হাসান মূলত রাশিয়ায় মানবপাচারের মূল হোতা।
যুদ্ধদাস বেচে দালালদের অট্টালিকা অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবুল হাসানের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত বহু মানুষ। বেশির ভাগই রাশিয়ায় আটকে পড়েছেন।
কেউ কেউ দেশে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। অনেকের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। স্বজনদের ঘরে ঘরেও কান্নার রোল। এ পর্যন্ত সাতটি জেলার অন্তত ২৮ জন ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছে কালের কণ্ঠ।
সব অভিযোগের তীর হাসানের দিকে। হাসানের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায়। তিনি কলাগাতী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। গত বছর ৮ নম্বর কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ‘অটোরিকশা’ প্রতীকে ভোট করেছেন। ওই ভোটে তিনি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার বনানীতে কার্যালয় খুলে মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন আবুল হাসান। বনানীর এফ ব্লকে ৪ নম্বর সড়কের মির্জা ভবনের (৪ নম্বর বাড়ি) নিচতলায় দুই কক্ষের একটি কার্যালয় রয়েছে ড্রিম হোম ট্রাভেলসের। ১৫ দিন ধরে কার্যালয়টি বন্ধ রয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত নিরাপত্তা রক্ষী শহীদুল্লাহ। হাসানের খোঁজে প্রতিদিনই ভুক্তভোগীরা এই কার্যালয়ে ভিড় করে।
তুহিনকে সামনে রেখে জেরিনের প্রতারণার জাল
জানা গেছে, মানবপাচারের অপকর্মে হাসানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন সাবিয়া তামান্না জেরিন। তাঁর বাড়ি নরসিংদীর মরজাল মধ্যপাড়া গ্রামে। তিনিও রাশিয়ায় যুদ্ধদাস বানানোর অন্যতম কারিগর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ডে একটি ইলেকট্রনিকের দোকান ও বসতঘরের পেছনে একটি মুরগির ফার্ম চালাতেন মানবপাচারচক্রের সদস্য নাজমুল হাসান তুহিন। তিনি ড্রিম হোম ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিয়া তামান্না জেরিনের ভাই। এই তুহিনকে সামনে রেখেই প্রতারণার জাল বোনেন তিনি। পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর বিভিন্ন যুবককে ইউরোপের পরিবর্তে রাশিয়ায় যেতে প্ররোচিত করে জেরিন। রাশিয়ায় যুদ্ধদাসে পরিণত হওয়া বিভিন্ন ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
রাশিয়ায় যুদ্ধদাসে পরিণত হওয়া সোহান মিয়া ও মোবারক হোসেন ভুঁইয়ার বাড়ি নরসিংদীতে। যারা জেরিনের মাধ্যমে রাশিয়ায় গেছেন। হয়েছেন যুদ্ধদাস। এ প্রসঙ্গে মোবারক হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী মুদি ব্যবসা করত। কিন্তু জেরিন তাঁর ভাইয়ের উদাহরণ দেখিয়ে রাশিয়ার প্রলোভন দেখান। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে কোনো সমস্যা হবে না। তাই আমরা তাঁকে বিদেশ যেতে দেই। কিন্তু এখন আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’
সাবিয়া তামান্না জেরিনের বাবার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মরজাল মধ্যপাড়া গ্রামে রবিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, তাঁদের বসতঘর তালাবদ্ধ। স্থানীয়রা জানায়, সর্বশেষ দুই থেকে তিন মাস আগে তুহিন বাড়িতে আসেন। ওই সময় তিনি ওমরায় যাচ্ছেন বলে তাঁদের জানান।
জেরিনের দুই চাচি নিজেদের নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘দেড় বছর আগে জেরিনের প্রথম মেয়ে বাচ্চা মুনজেরিন হওয়ার পর থেকে তার মা পেয়ারা বেগম ও বোন তারিন রাজধানীর আশকোনায় তার (জেরিন) বাসায় থাকে। আর তুহিন সৌদি আরবে ওমরাহ করবে বলে দু-তিন মাস আগে বাড়িতে তালা লাগিয়ে গেছে। এখন আমরা জানতে পেরেছি, সে রাশিয়া গেছে তার বোন জেরিনের অফিসের মাধ্যমে।’
জেরিনের নিকটাত্মীয় জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের সঙ্গে বাড়ির কারোই তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। তাই তাদের সম্পর্কে বেশির ভাগ তথ্যই আমাদের অজানা।’
ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল হোতারা
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিরীহ ব্যক্তিদের ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর নেপথ্য খলনায়করা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ পর্যন্ত সাতটি জেলার অন্তত ২৮ জনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আবুল হাসান ও সাবিয়া তামান্না জেরিনের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন তাঁরা। এখন প্রতিকারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও অর্থাভাবে মামলা করতে পারছেন না। এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে শুধু সতর্কবার্তা দিয়ে দায় সারছেন কর্তাব্যক্তিরা।
রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে পড়া সোহান মিয়ার ভাই আকরাম হোসেন বলেন, ‘মামলা করতে আজ (রবিবার) আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন, মামলা আদালতের নজরে আনতে লাখ টাকার ওপরে লাগবে। আমরা এমনিতেই সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব, মামলার খরচ জোগাব কিভাবে। আমি আমার ভাইকে ফেরত চাই। আমার ভাই যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে লড়েছে। কিন্তু দালালচক্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। অতি দ্রুত মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা মোবারক হোসেন ভুঁইয়ার ছোট বোন শম্পা আক্তার বলেন, ‘আইনজীবী জানিয়েছেন মামলা করতে এক লাখ টাকা লাগবে। ভাইকে বিদেশ পাঠাতে গিয়ে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এখন কিভাবে মামলার টাকা ব্যবস্থা করব। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অতি দ্রুত ড্রিম হোম ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। ওরা আইনের আওতায় এলে রাশিয়া থেকে আমার ভাইয়েরা ফিরে আসবে।’
মূল হোতা হাসানের তিনতলার অট্টালিকা
কালিয়া উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কলাবাড়িয়া গ্রামে হাসানের পৈতৃক নিবাস। গতকাল সরেজমিন কলাবাড়িয়া বাজারে গেলেই হাসানের বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়। তিনতলা অট্টালিকায় থাকেন হাসানের মা ও অন্য ভাইয়েরা। সাংবাদিক দেখে এগিয়ে আসেন হাসানের বড় ভাই হুসাইন মোল্লার স্ত্রী সুমি বেগম এবং ছোট ভাই আবু হানিফার স্ত্রী ববিতা খানম। তাঁরা হাসানের লোক পাঠানো এবং ঝামেলার ব্যাপারে অবগত হলেও মুখ খুলতে নারাজ।
তাঁদের দাবি, গত ৫ আগস্ট থেকে হাসানের সঙ্গে তাঁদের কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি বাড়িতেও যাননি। হাসান বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন বলে জানেন তাঁরা। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতারণার তথ্য তাঁদের জানা নেই বলে দাবি করেন।
হাসানের চাচা মন্টু মোল্লা বলেন, ‘হাসান মিয়া এলাকায় অনেক লোক পাঠিয়েছে। কখনো কোনো ঝামেলার কথা শুনিনি। এবার ঝামেলা হইছে শুনেছি। তবে ঢাকায় কী ব্যবসা করে, সেটা তো জানি না। এলাকায় অনেক ভালো কাজ করেছে। মাদরাসা বানাইছে, পাঠাগার বানাইছে।’
কলাবাড়িয়া এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন আবুল হাসান। তাঁর প্রতীক ছিল ‘অটোরিকশা’। ওই নির্বাচনে তিনি কোটি টাকা ব্যয় করেন।
ঢাকায় তাঁর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এলাকার মানুষ তেমন কিছু বলতে না পারলেও বিদেশে লোক পাঠানোর ব্যাপারটা ভালোই জানেন। কলাবাড়িয়া বাজারে মানুষ তেমন কিছু বলতে রাজি হয়নি। তবে এই গ্রামের দুই যু্বক সম্প্রতি সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসায় রাশিয়ায় গেছেন বলে জানা যায়। কলাবাড়িয়া বাজারে কথা হয় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসান বিভিন্ন জায়গায় লোক পাঠান। অনেক টাকা তাঁর।
হাসানের প্রতারণা নিজ গ্রামেও
আবুল হাসানের প্রতারণার খপ্পরে পড়েছেন তাঁর নিজ গ্রামের দুই যুবক। এঁদের একজন কলাবাড়িয়া দশআনি পাড়ার সিরাজুল ইসলাম সুরুজ (৩০)। প্রায় আড়াই মাস আগে হাসানের মাধ্যমে সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসায় গিয়ে সেখান থেকে বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
তাঁর প্রতিবেশী চাচাতো ভাই ওসিকুর রহমান বলেন, রাশিয়া যাওয়ার পরে আমার সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হয়। চার থেকে পাঁচ দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তাঁর একটা ভয়েস ম্যাসেজ পেয়েছি। সেটায় শুধুই কান্নার আওয়াজ। বুঝতে পারছি না সে বেঁচে আছে, না কোথায় আছে।
সুরুজের স্ত্রী আদুরী খানম স্থানীয় কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, রাশিয়ায় সুরুজের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সুরুজ ভালো আছে। সুরুজ তিন-চার দিন আগে রাশিয়ায় পৌঁছেছে। বর্তমানে রাশিয়ার একটি হোটেলে আছে। অবশ্য এ সময় আদুরী খানমকে খুব ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছিল।
একইভাবে রাশিয়ায় পাড়ি জমান কলাবাড়িয়ার বোয়ালিয়ার চরপাড়া গ্রামের ১৯ বছরের যুবক হুসাইন বিল্লাহ আলিফ। আড়াই মাস আগে সৌদি আরব থেকে বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানান তাঁর বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, ‘বহুদিন ধরে ছেলে বিদেশ যেতে চায়। তাই এইচএসসি পাস করার পরই এলাকার আবুল হাসানের মাধ্যমে আমার মেয়ে আর মেয়ে জামাই ১২ লাখ টাকা খরচ করে রাশিয়া পাঠিয়েছে।’
কালিয়া বাজারের রায় মার্কেটে যেখানে হাসানের অফিসের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে, সেটা মূলত তাঁর ছোট ভাইয়ের কেবল অপারেটরের ব্যবসা। এখান থেকে কালিয়া স্যাটেলাইট লাইন সরবরাহ করেন হাসানের ছোট ভাই দিদারুল ইসলাম। দিদারুল ইসলাম স্বীকার করেন যে তাঁর ভাই আবুল হাসান যাঁদের পাঠিয়েছেন, তাঁদের অনেকে রাশিয়ায় সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু শুরুর দিকে এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ তোলেননি। এখন বিপদে পড়ে সবাই তাঁর ভাইয়ের দিকে আঙুল তুলছেন বলেও দাবি তাঁর।
নাটোরের কবিরের মরদেহ ফেরানোর উদ্যোগ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের দুুই ব্যক্তি সংসারের সচ্ছলতা আর সন্তানদের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতারক প্রতিষ্ঠান ড্রিম হোম ট্রাভেলস তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে রাশিয়ার যুুদ্ধে পাঠায়। সেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনে মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান হুমায়ুন কবির।
অন্যদিকে মাত্র ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে হুমায়ুনের ভগ্নিপতি রহমত আলীকেও পাঠানো হয় যুদ্ধে। যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি তাঁর স্বজনদের এক অডিও বার্তায় বলেন, ‘হুমায়ুন আমার কোলে মারা গেছে। আমি যুদ্ধক্ষেত্রে গেলে বাঁচব কি না জানি না। তোমরা আমাকে যেভাবে পারো দেশে ফিরিয়ে আনো।’
জানতে চাইলে নাটোর জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁদের মুখে সব শুনে লিখিত আবেদন নিয়ে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ রাখছি। আমরা চেষ্টা করব যাতে নিহত হুমায়ন কবিরের মরদেহ এবং রহমত আলীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। তিনি আরো বলেন, এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের ব্যাপার। তবে জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার যতটুকু করণীয় তার সবটুকুই আমি করব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।