আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিষয়ে নিষ্পত্তিতে আসা সম্ভব, এজন্য কিয়েভকে অবশ্যই নিরপেক্ষ, নাৎসিমুক্ত ও বেসামরিক হতে হবে। আর ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাশিয়া আলোচনা উন্মুক্ত রেখেছে। আলোচনা থেকে প্রত্যাশিত ফল আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা থাকা বন্দিদের ছেড়ে দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, নৈতিক দিক থেকে এই সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও প্রতিরক্ষার দিক থেকে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া জরুরিভিত্তিতে সদস্যপদ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউরোপীয়দের সঙ্গে একসঙ্গে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ইউরোপের সঙ্গে মিলে সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, এটিই ন্যায্য, এটি সম্ভব।
ভিডিও বার্তায় রুশ সেনাদের অস্ত্র সমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, অস্ত্র সমর্পণ করে এখান থেকে বের হয়ে যাও। তোমাদের কমান্ডারদের বিশ্বাস করো না। তোমাদের অপপ্রচারকারীদের বিশ্বাস করো না। তোমরা নিজেদের রক্ষা করো।
রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগে তাৎক্ষণিকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহার ও অস্ত্রবিরতি দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা বর্তমানে ইউক্রেন-বেলারুশের সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে।
প্রতিনিধিদের মধ্যে সাতজন উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। তবে জেলেনস্কি নিজে বৈঠকে উপস্থিত হননি। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম চার দিনে পাঁচ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, লড়াইয়ে প্রায় পাঁচ হাজার ৩০০ রুশ সেনার প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়াও তাদের ১৯১টি ট্যাংক, ২৯টি যুদ্ধবিমান ও ৮১৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।