যুব সমাজকে ‘আই হেইট পলিটিক্স’ কালচার থেকে বের করতে চান শেখ পরশ

জুমবাংলা ডেস্ক: যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, আমার চেষ্টা থাকবে যুব সমাজ যেন বর্তমান ‘আই হেইট পলিটিক্স’ কালচার থেকে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে নিজেদেরকে দেশের কাজে নিয়োজিত করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন থেকে একটাই পরিচয় আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একজন সাধারণ কর্মী।’

শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নিজের অনুভুতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে পরশ।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। কারণ যে মানুষটি এ জাতির জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাকে যখন এত নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করতে পারলো। তখন আশাহত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারপরেও বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার দেশের প্রতি উদার ভালবাসা দেখে আমি সাহস পাই।

যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজ আমি আপনাদের সামনে এসেছি। আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হচ্ছে, আমি সম্পূর্ণ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করব। যুবলীগের সভাপতি (চেয়ারম্যান) হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের সাথে থেকে কাজ করব। আপনারা আমাদের শক্তি হবেন।

নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বলেন, আমার বাবা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এই সংগঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপর যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। তা প্রতিহত করার জন্যই এই সংগঠন কাজ করেছে।

শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ষড়যন্ত্রের কারণে সেই বিপ্লব সম্পূর্ণ হয়নি। আজকে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, যে কর্মসূচি দিয়েছেন, সেই কর্মসূচিকে আমি বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের একটি কর্মসূচি হিসেবে দেখি। আমি আমার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার কর্মসূচি সফল করতে কাজ করব। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর আস্থাশীল। তারা দেখেছেন গত ১০ বছরে তিনি কিভাবে বাংলাদেশকে আর্থসামাজিকভাবে দাঁড় করিয়েছেন। কিভাবে তিনি এদশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আমরা যেন আমাদের কর্মের মাধ্যমে বিশসের মর্মকে আরো সুদৃঢ় করতে পারি।’