আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে হাজিদের প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩’শ। রোববার (২৩ জুন) এ তথ্য জানায় সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এবার পুরো হজ মৌসুম জুড়েই দাবদাহ ছিল মক্কায়। প্রায় দিনই তাপমাত্রা ছিলে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বেশিরভাগ হাজির মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত অসুস্থতায়। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও এপি’র।
দেশটির মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত হাজিদের ৮৩ শতাংশের হজে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল না। ফলে অনুমোদন নিয়ে যাওয়া অন্যান্য হাজিদের মতো প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে কুলিং সিস্টেম, ঠান্ডা পানি ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার মতো সেবা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। তীব্র তাপদাহে কোনরকম আশ্রয় ছাড়াই তাদের হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এতে পথের মাঝেই প্রাণ হারান অনেকেই।
নিহতদের মধ্যে কেবলমাত্র মিশরীয় নাগরিকই রয়েছেন ৬৬০ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩১ জনের হজ করার সরকারি অনুমোদন ছিল। এ ঘটনায় মিশরের সরকার দেশটির ১৬টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে যারা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত হজযাত্রীদের সৌদি ভ্রমণে সহায়তা করেছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৬৫ ইন্দোনেশিয়ান, ৯৮ ভারতীয়, ৩১ বাংলাদেশি, ২ মার্কিন নাগরিকসহ জর্ডান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
দেশটির সরকারি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) তাদের অফিশিয়াল বার্তায় বলে, দুঃখজনকভাবে মৃতের সংখ্যা ১৩০১ এ পৌঁছেছে, যার ৮৩ শতাংশরই হজ করার জন্য অনুমোদন ছিল না। অবশ্য দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ বিন আব্দুর রহমান আল-জালাজেল এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনাকে ‘সফল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২২টি দেশের ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম এ বছর হজ পালন করেছেন। যা সংখ্যায় গত বছরের সমান। এদের মধ্যে ১৬ লাখই বিদেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মক্কায় গরমের তীব্রতা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। এ বছর সেখানে তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছাতে দেখা গেছে।
জঙ্গের এই উদ্ভিদটি কোবরা সাপের চেয়েও বেশি বিষাক্ত, স্পর্শ করলে মৃত্যু অনিবার্য
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।