উন্মুক্ত জলাশয়, রকমারি ফুলের গাছ আর কর্তৃপক্ষের দারুণ সব উদ্যোগে প্রজাপতিরা এখানে যেন মুক্ত ডানায় ঘুরে বেড়ায়। ফুলে ফুলে বসে বাহারি সব প্রজাপতি। কত রঙের প্রজাপতি যে দেখতে পাওয়া যায় তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা প্রতিবছর আয়োজন করে প্রজাপতি মেলার। এ বছর ৬ ডিসেম্বর ১৪তম প্রজাপতি মেলার আয়োজন করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারের মেলায় ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকৃতিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন।
মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন জানান, মেলায় প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন ও প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠন ‘প্লানটেশন ফর নেচারের’ প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চাকমাকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির আহমেদকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবারের মেলার সহযোগী সংগঠন ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।