আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মিরের লাদাখে চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সোমবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষস্থলের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, তারা গ্যালওয়ান নদীর মুখের কাছে ওই সংঘর্ষের সঠিক অবস্থান খুঁজে পেয়েছে।
এদিন লাদাখের গ্যালওয়ান উপত্যকার একটি সংকীর্ণ রিজলাইনে (পাহাড়ের চূড়া বরাবর উভয় প্রান্তে নিচে নেমে যাওয়া এলাকা) সংঘর্ষ লিপ্ত হয় উভয় পক্ষের সেনারা।
ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত ছবিতে গালওয়ান নদীর মুখের কাছে, দ্রুত প্রবাহমান নদীটির উপত্যকার ওপরের দিকে নির্দেশ করা রেখাগুলো দিয়ে সংঘর্ষস্থলটি চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলের প্রায় ২০০ মিটার নিচে ছিল চীনা বাহিনীর ক্যাম্প। সংঘর্ষের সময় উভয় বাহিনীর অনেক সদস্য নদীতে পড়ে যায়।
ভারতীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। তবে চীনা বাহিনীর পক্ষ থেকে পাথর নিক্ষেপ ও রড ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পাথর ও রড নিয়ে হামলে পড়ে চীনা বাহিনী। কাঁটাতার জড়ানো ব্যাটন দিয়েও ভারতীয় সেনাদের মারধর করে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর এতেই একের পর এক জওয়ানদের হারাতে থাকে ভারতীয় বাহিনী। তবে ভারতের আরেকটি সেনা সূত্রের দাবি, স্রেফ খণ্ডযুদ্ধ নয়, প্রবল ঠাণ্ডাতেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই দাবি করেছে, সোমবার রাতের ওই ঘটনায় চীনেরও অন্তত ৪৩ সেনা নিহত বা মারাত্মক আহত হয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ কোনও হতাহতের কথা স্বীকার করেনি।
গত মাসের শুরুর দিক থেকে প্যানগং (পূর্ব লাদাখ) এবং নাকু লা (সিকিমের) এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। সে থেকেই দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তখন থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর প্রচুর সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়। তবে গত সপ্তাহে উভয় দেশের তরফ থেকে উত্তেজনা নিরসনে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানানো হয়। এরমধ্যে সোমবার রাতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গত ৪৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।