মোহাম্মদ আল আমিন : কোনও নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্র বা পিচ ছাড়াই ক্রিকেট খেলা সম্ভব। বিশেষ করে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষ লোক রাস্তার মাঝেও ক্রিকেট খেলে থাকে। তবে ক্রিকেট খেলতে যা থাকাটা জরুরী সেটি হচ্ছে, একটি ব্যাট এবং একটি বল।
ক্রিকেট যে কোনও ধরণের ছোট গোল বলের সাথে খেলা সম্ভব। টেনিস বল ক্রিকেট আমাদের দেশে দেশে খুব জনপ্রিয়। তবে একটি নিয়ম-নীতি ক্রিকেট বল তৈরির জন্য কিছু নির্দিষ্ট উপাদান এবং মাত্রা থাকে।
ক্রিকেট বল বানানোর জন্য যে উপকরণ লাগে:
ক্রিকেট বলগুলি সাধারণত তিনটি স্বতন্ত্র উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। কর্ক, দড়ি ও চামড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বলের মূল অংশটি কর্ক দিয়ে তৈরি। তারপরে সেই কর্কটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য দড়ি দিয়ে বেশ কয়েকবার শক্তভাবে আবদ্ধ করা হয়।
কর্ক এবং দড়ি গুলো পরে চামড়াতে আবদ্ধ করা হয়। যা সাধারণত লাল বা সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে। বলে চামড়ার ব্যবহারটি সাধারণত ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভর হয়ে থাকে। চামড়ার
কেসটি দুই বা চার পিস ব্যবহার করা হয়ে
ক্রিকেট বল অত্যান্ত শক্তিশালী সরঞ্জাম। তাই একজন ব্যাটসম্যান নিজের আত্মরক্ষার্থে ক্রিকেট মাঠে ব্যবহার করে থাকে প্যাড, আর্ম গার্ডস এবং হেলমেট।
ক্রিকেট বলের মাত্রাটা কেমন থাকে?
ক্রিকেট বলের মাত্রাটা কতটুকু থাকা উচিৎ সেটি নির্ভর করে খেলাটি কোন স্তরের মানুষ খেলছে।
পুরুষদের ক্রিকেট: যেখানে বলের ওজন ১৫৫.৯ থেকে ১৬৩ গ্রাম। এর পরিধি ২২.৪ থেকে ২২.৯ সেন্টিমিটারের মধ্যে আবদ্ধ থাকে।
মহিলা ক্রিকেট: নারী ক্রিকেটে বলের ওজন ১৪০ থেকে ১৫১ গ্রাম হয়ে থাকে। এর ২১ থেকে ২২.৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে পরিধি থাকে।
জুনিয়র ক্রিকেট: বাচ্চাদের বা যুবদের ক্রিকেটের জন্য বলটির ওজন করা থাকে ১৩৩ থেকে ১৪৪ গ্রাম। এটির পরিধি ২০.৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে।
বলের রং:
ক্রিকেট খেলায় সব থেকে বেশি যে রঙ এর বল ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে, লাল বলটি। তবে, ফ্লাডলাইটের আওতায় সীমিত ওভারের ম্যাচগুলির সূচনা হওয়ার পরে, শ্বেত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে সাদা রঙ এর বলটি।
ক্রিকেটে ভিন্ন রঙ যেমন গোলাপী এবং কমলা রঙের বলও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু লাল এবং সাদা বলটি এখনও স্ট্যান্ডার্ড।
ব্র্যান্ডস:
বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট বল প্রস্তুতকারকরা হলেন, অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা কোকাবু্রা। সমস্ত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি বেশিরভাগ টেস্ট ম্যাচেও ব্যবহৃত হয় কোকাবুরা বলগুলো।
অন্যদিকে ডিউকস বল তৈরি করা হয় ইংল্যান্ডে। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডে খেলা টেস্ট ম্যাচে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে ভারতে বানানো হয় এসজি ব্রান্ডের ক্রিকেট বল। ভারতে খেলা টেস্ট ম্যাচগুলোতে এই এসজি বলই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।