স্পোর্টস ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা। তারপরই মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের অষ্টম আসর। শুরু হবে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। রানের চূড়ায় থাকা মাহেলা জয়াবর্ধনের রেকর্ডটা হয়তো এবার ভেঙেই ফেলবেন রোহিত শর্মা। আর উইকেট শিকারের হিসাবে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ধারে কাছেও নেই কেউই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটা মাহেলা জয়াবর্ধনের দখলে। সেটা ভাঙার অনেক কাছে দাঁড়িয়ে আছেন তারই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিষ্য রোহিত শর্মা। জয়াবর্ধনের ১০১৬ রানের বিপরীতে রোহিতের রান ৮৪৭। রোহিত এখন পর্যন্ত যে ফর্মে আছেন, তাতে এই রেকর্ডতা নিজের করে নিতে খুব বেশি ম্যাচ লাগার কথা নয়। এই সুযোগ আছে কোহলিরও। রানে যে রোহিতের চেয়ে মাত্র ২ সংখ্যা পিছিয়ে তিনি।
গত ৭ আসরে মাত্র ৯টা সেঞ্চুরি দেখেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার মধ্যে দুটো আবার ক্রিস গেইলের। এবার নতুন কোনো সেঞ্চুরিম্যানের অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া। সেটা যদি অ্যালেক্স হেলস হতে পারে, তবে গেইলের রেকর্ডে ভাগ বসাবেন এই ইংলিশ। ২০১৪ সালে একটা সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তবে, সবচেয়ে বেশি ফিফটিতে আবার এগিয়ে কোহলি। ২১ ম্যাচে ১০ ফিফটি তার। ৮টা ফিফটি করে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে পরের জায়গায় আছেন রোহিত। ওয়ার্নারের আছে ৬ ফিফটি। এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানও কোহলির দখলে। ২০১৪ সালে ৬ ম্যাচে ৩১৯ রান করেছিলেন বিরাট।
সবচেয়ে বেশি উইকেটে সবার ওপরে সাকিব আল হাসান। ৩১ ম্যাচে মিস্টার সেভেন্টি ফাইভের উইকেট সংখ্যা ৪১। বর্তমানে ক্রিকেট খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের কেউ নেই তার ধারেকাছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তালিকায় থাকলেও তার সঙ্গে সাকিবের দূরত্ব অনেক বেশি। অশ্বিনের উইকেট মাত্র ২৬টা। ইনিংসে ৪ বা তার বেশি উইকেট নেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব। এ আসরে আর একবার পেয়ে গেলেই সাঈদ আজমলকে টপকে রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারবেন তিনি।
এক আসরে সর্বোচ্চ উকেটশিকারির তালিকায় নেই কোনো বাংলাদেশি। সেটা দখলে রেখেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরব আমিরাত আসরে ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন এ লঙ্কান। ২৩টি বল লুফে, সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরার তালিকায় সবার ওপরে আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার রেকর্ডে নিঃশ্বাস ফেলছেন ওয়ার্নার এবং রোহিত শর্মা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।