বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা। যেখানে অনেক তারকারাই নিজেদের সংসার ভাঙার খবরে সমালোচনায় থাকেন, সেখানে ১২ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন তারা। চিত্রনায়িকা বর্ষার মতে, দাম্পত্য জীবনে যাই হোক, সংসার ভাঙার পক্ষে নন তিনি।
মাঝে মধ্যেই তারকাদের সংসার ভাঙা এবং তাদের একে অন্যের প্রতি নানান ধরনের অভিযোগে নেটদুনিয়ায় ঝড় উঠে। তবে ব্যক্তিগতভাবে বর্ষা মনে করেন এসব বিষয় ঘরের বাইরে না আনাই ভালো। এতে করে নতুন প্রজন্ম ভালো কিছু শেখার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্থই হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ঈদ আয়োজন ‘ঈদ কার্ণিভাল’ টক-শোতে হাজির হয়েছিলেন অনন্ত-বর্ষা। সেখানেই বর্তমান সময়ের সংসার জীবনের টানাপড়েনের এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই চিত্রনায়িকা।
সঞ্চালক ইমতু রাতিশ অনুষ্ঠানের এক পর্যায় অনন্তের কাছে জানতে চান, বর্তমানে আর্টিস্টরা যে কাজে ফোকাস না করে, অন্য সব বিষয়ে ফোকাস করছে এটা কী আদৌ ওদের ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হচ্ছে? কিংবা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কী এগুলো ভালো কিছু দিচ্ছে?
জবাবে অনন্ত বলেন, এটা আসলে যারা করে, তারাই ভালো বলতে পারবে। যে করে করে, সে তার ভেতরের চিন্তাভাবনা থেকেই করে, আমি তো আর তাদের ভেতরে গিয়ে ঢুকতে পারব না। সো আমি কীভাবে জানব,এই কাজগুলো কেন করে।
তবে একই প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি নিয়ে বর্ষা বলেন, এখন স্বামী-স্ত্রীর যে বিষয়গুলো হচ্ছে, সেখানে সংসার না টিকলে না টিকুক। তোমার সঙ্গে ঘোর করব না আমি, এটা হতেই পারে। কিন্তু যেভাবে বিষয়গুলো হচ্ছে, এতে এ প্রজন্মের যারা টিনেজার আছে তারা কিন্তু সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এগুলোই দেখে।
চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় এই বয়সটা খুবই সেনসেটিভ একটা বয়স। এখনকার বাচ্চারা যা দেখেবে তাই শিখবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। তখন দেখা যাবে, আরেহ ওরা তো সেলিব্রেটি ওরাই এসব করছে, আমার করলে আর কি হবে, বাবা-মা তো শুধু একটু বকাই দিবে। এই বিষয়গুলো কিন্তু হচ্ছে এখন। এটা কিন্তু বাস্তব, আর এই বিষয়গুলো আসলে মাথায় রাখা উচিৎ। আর নিজেদের পারিবারিক বিষয়গুলো ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ।
বর্ষার মতে, সংসার করবে না, ঠিক আছে। তবে সবকিছু সামনে নিয়ে এসে পৃথিবীর মানুষকে কেন জানাতে হবে। এগুলাতে কিন্তু মানুষের সহানুভূতিও পায় না। সবাই তো বকাই দেয়। আমার কথা হচ্ছে, যেটাই হয়ে যাক না কেন, সংসার কেন ভাঙব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।