Close Menu
iNews Global Insight
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
iNews Global Insight
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
iNews Global Insight
Home যেভাবে ইস্তিগফার করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন
ইসলাম ধর্ম

যেভাবে ইস্তিগফার করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন

Shamim RezaApril 26, 20203 Mins Read
Advertisement

ধর্ম ডেস্ক : পাপের সাগরে ডুবে থেকে মাঝে মাঝে মানুষ ভুলেই যায় যে, একদিন তাকে আল্লাহতায়ালার সামনে দাঁড়াতে হবে। স্বীকার করতে হবে জীবনের সব কৃতকর্ম।

দুনিয়া নিয়ে মানুষ এত পরিমাণ ব্যস্ত যে, নিজের পাপাচারের দিকে ফিরে তাকিয়ে একটিবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলারও সময় নেই। অথচ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী মুহাম্মদ (সা.) দৈনিক ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করতেন।

যার জন্য জান্নাত অবধারিত, দুধের চেয়েও সাদা যার জীবনের পাতা, সেই মহামানব যদি প্রতিদিন ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করেন, তা হলে আমরা কীসের আশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছি?

কোরআনের আলোকে ইস্তিগফারের গুরুত্ব
আল্লাহতায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নামের একটি হলো– الغفار তথা অতিক্ষমাশীল; যিনি বান্দার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন। আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে কোরআনে কারিমে বহু আয়াত পাওয়া যায়।

আল্লাহতায়ালা বলেন, (হে নবী! আপনি) আমার বান্দাদের বলে দিন– নিশ্চয়ই আমি অতিক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সুরা হিজর: ৪৯)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, যারা অজ্ঞাতবশত পাপাচার করে, অতঃপর তওবা করে ও সৎকর্ম করে, তাদের প্রতি আপনার প্রভু অতিক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সুরা নাহল: ১১৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, (হে নবী! আপনি) বলুন, হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দিন ও আমার ওপর আপনার রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বাধিক দয়ালু। (সুরা মুমিনুন: ১১৮)

হাদিসের আলোকে ইস্তিগফারের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বহু হাদিসে ইস্তিগফারের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ বেশি বেশি কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে সব প্রকার দুর্দশা থেকে মুক্তি দান করেন, হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ দান করেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (আবু দাউদ)

আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহতায়ালা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। এবং সে আল্লাহতায়ালার রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনন্দিন ২৫-২৬ বার সব মুসলিম নর-নারীর জন্য ইস্তিগফার পাঠ করবে, আল্লাহতায়ালা তাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ (যার সব দোয়া কবুল হয়) বানিয়ে দেবেন।

মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ হলো এমন ব্যক্তি যিনি দোয়া করা মাত্রই আল্লাহতায়ালা তার দোয়া কবুল করে নেন।

ইস্তিগফারের পদ্ধতি
আল্লাহতায়ালার ক্ষমার দরজা সবসময় খোলা। সুতরাং আগামীকালের জন্য তওবাকে স্থগিত করা যাবে না। কেননা আগামীকাল অনিশ্চিত। তাই কোনো পাপকর্ম সাধন করার সঙ্গে সঙ্গেই ইস্তিগফারের মাধ্যমে তওবা করে নেয়া উচিত।

আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা কবুল হওয়ার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে-
প্রথমত অতীত গুনাহের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি প্রদানপূর্বক আল্লাহতায়ালার কাছে লজ্জিত হতে হবে।

দ্বিতীয়ত ভবিষ্যতে ওই পাপকর্ম না করার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালার কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

তৃতীয়ত আল্লাহতায়ালার কাছে নিজের কৃত অপরাধের জন্য কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এবং সর্বশেষ হৃদয় থেকে ওই পাপকর্মকে ঘৃণা করতে হবে।

আর কৃত অপরাধের সঙ্গে যদি কোনো বান্দার হক জড়িত থাকে, তা হলে তা আদায় করে দিতে হবে।

ইস্তিগফারের উপকারিতা
পাপমোচনের একমাত্র উপায় হলো– ইস্তিগফার তথা আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। পাপে ভুগে মানুষ যখন হুঁশ হারিয়ে ফেলে, তখন তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে স্রষ্টার নিকট ফিরে গিয়ে মানুষ সঠিক পথের দিশা খুঁজে পেতে পারে।

ইস্তিগফারের মাধ্যমে হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর হয়। এটি আল্লাহতায়ালার রহমত লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

ইস্তিগফারের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয় ও রিজিকের দরজা খুলে যায়।

বেশি বেশি ইস্তিগফার করলে জ্ঞান ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

প্রতিনিয়ত ইস্তিগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ হয়। আল্লাহতায়ালার সর্বত্র বিরাজমানতা হৃদয়ে আরও গভীরভাবে উপলব্ধ হয়। আর এতে করে পাপাচার থেকে বেঁচে থাকা যায়।

শেষ কথা
ইস্তিগফারের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আল্লাহতায়ালার মাগফিরাত অর্জন করে জান্নাতে যাওয়ার একমাত্র উপায়। তা ছাড়া ইস্তিগফারের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায়, আত্মা শক্তিশালী হয় এবং বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
জুমার দিন

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

December 26, 2025
ইনসাফ

ইনসাফ শব্দের অর্থ কী?

December 23, 2025
রজব মাসে রমজানের

রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিন আমল

December 23, 2025
Latest News
জুমার দিন

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ইনসাফ

ইনসাফ শব্দের অর্থ কী?

রজব মাসে রমজানের

রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিন আমল

জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

ঋণ মুক্তির দোয়া

ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?

তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.