জুমবাংলা ডেস্ক : আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলছেন, ”যেসব এলাকার বাসিন্দারা কোভিড-১৯ শনাক্ত হবেন, তারা বাসায় বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবেন অথবা হাসপাতালে যাবেন। যাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা, তারা সেভাবে থাকবেন। আর অন্য বাসিন্দারা যে ঘর থেকে একদম বের হতে পারবেন না, তা নয়। কিন্তু তাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তবে বাইরে থেকে কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাদের সতর্ক করা হবে।” তিনি জানান, সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে এই ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করবেন।
”প্রথম পর্যায়ে অল্প কিছু এলাকায় এটি করা হবে। সেখানে সাফল্য বা সীমাবদ্ধতা দেখে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে করার পরিকল্পনা আছে।” কিন্তু কোন একটি এলাকা লকডাউনের মধ্যে এলে, সেই এলাকা দিয়ে অন্যরা কীভাবে যাতায়াত করবেন? সেসব এলাকায় যাদের অফিস বা কর্মক্ষেত্র রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই বা কী হবে? মুশতাক হোসেন বলছেন, ”বড় বড় রাস্তা, যা অন্যান্য বাসিন্দারা ব্যবহার করবেন, সেটি বন্ধ করা হবে না। হয়তো চারদিকে রাস্তা আছে, তার মাঝখানের অংশটুকু বেষ্টনীর ভেতরে থাকবে। রাস্তার অপর পাশ হয়তো আরেকটি বেষ্টনীর ভেতর থাকবে।”
তিনি জানাচ্ছেন, যারা নিশ্চিত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের চলাফেরার ক্ষেত্রই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অন্যান্য বাসিন্দাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাইরে বের হওয়া বা প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে। জরুরি সংস্থার কর্মীরা বিনা বাধায় যেতে পারবেন। তবে কীভাবে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকাভিত্তিক লকডাউন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, এলাকাভিত্তিক লকডাউনের বাস্তবায়ন ও তার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।