বিনোদন ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। ভালোবেসে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তকে বিয়ে করেছিলেন। গতকাল (১৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ঐশ্বরিয়ার আরেক পরিচয় তিনি তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। ধানুশ অভিনীত ‘থ্রি’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তিনি। তামিল ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত এই জুটির ডিভোর্সের খবরে মর্মাহত তাদের ভক্তরা।
‘কাদাল কোন্দেইন’ সিনেমার প্রদর্শনীতে প্রথম দেখা হয় ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের। পরিবারের সঙ্গে সিনেমাটির প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন ধানুশ। এটি ছিল তার দ্বিতীয় সিনেমা। এই সিনেমাটির প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত ছিলেন রজনীকান্ত। সেখানে দুই মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই কিংবদন্তি। পরে ঐশ্বরিয়া ও সৌন্দর্যের সঙ্গে ধানুশের পরিচয় করান রজনীকান্ত। তখন ধানুশের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার সৌজন্যমূলক কথা হয়। পরে রজনীকান্ত কন্যা এই অভিনেতাকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দেন। এতে লেখা ছিল, ‘ভালো কাজ।’ বিষয়টি তার অনেক ভালো লাগে বলে পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে ধানুশ বলেছেন।
অন্যদিকে, ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত ছিলেন ধানুশের বোনের বন্ধু। এদিক থেকেও প্রায়ই তাদের দেখা হতো। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। এক সময় তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই জুটির ঘনিষ্ঠতা মিডিয়ায় নজরেও আসে। কারণ সেই সময় জনপ্রিয়তার কারণে ধানুশ বেশ আলোচনায় থাকতেন। তাই তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মিডিয়ার কৌতূহল ছিল। এছাড়া ঐশ্বরিয়া ছিলেন রজনীকান্তের মেয়ে সেটিও একটি কারণ ছিল। নিয়মিত তাদের প্রেম নিয়ে মিডিয়ায় চর্চা হতে থাকে।
তবে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার প্রেমেও বাধা ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল তাদের বয়সের ব্যবধান। সেই সময় ধানুশেন বয়স ২১, অন্যদিকে ঐশ্বরিয়ার ২৩ বছর। এ কারণে মিডিয়ার আলোচনা নিয়ে তাদের দু’জনের পরিবারই অনেক চটেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসারই জয় হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর পরিবারের সম্মতিতে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের বিয়ে হয়। ২০০৬ সালে বড় ছেলে যাত্রার জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তান লিঙ্গা পৃথিবীতে আসে ২০১০ সালে।
কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে ডিভোর্সের ঘোষণা ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে ধানুশ লেখেন, ‘১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।’ পাশাপাশি তাদের এই সিদ্ধান্তটিকে সম্মান জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন ‘মারি’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতা।
অভিনেত্রী শিমুর মরদেহ গুমের দায়িত্বে ছিলেন স্বামীর বন্ধু ফরহাদ
অপরদিকে একই বিবৃতি পোস্ট করেছেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। বিবৃতিতে তিনি নিজের নাম ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত উল্লেখ করেন। ক্যাপশনে রজনীকান্ত কন্যা লেখেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। শুধু আপনারা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।