১৯৪০ সালের দিকে এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। প্রথমবারের মতো কোনো বিমানে তির্যক ডানা বা পিভোটিং উইং প্রযুক্তি ব্যবহার করার চিন্তা করা হয়। ওই এয়ারক্রাফ এর নাম ছিল এডি ওয়ান।
এটি একটি বিশেষ বিমান ছিল যেখানে তীর্যক ডানা ব্যবহার করে আকাশে সহজেই উড়ে যাওয়া সম্ভব ছিল। তবে ১৯৪০ এর দশকে এটি চিন্তা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে আরো অনেক সময় লেগে যায়।
১৯৭০ এর দশকে নাসার আমস রিসার্চ সেন্টারের রবার্ট টি জোন্স নামে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এটি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করার আগ্রহ দেখায়। ফান্ড পাওয়ার পর তিনি তির্যক ডানা সহ এ বিশেষ এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করে দেন।
তিনি বুঝতে পারেন যে, তির্যকে ডানাসহ এয়ারক্রাফ্ট ব্যবহার করার কয়েকটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রথাগত পদ্ধতিতে তৈরি বিমানের থেকে এটি অনেক বেশি জ্বালানি সাশ্রয় করবে।
পাশাপাশি খুব কম শব্দ করে এটি আকাশে উড়তে পারবে এবং ল্যান্ড করতে পারবে। এডি ওয়ান এয়ারক্রাফটি পুরোপুরি তৈরি করার জন্য রবার্ট টি জোন্স কাজ করেন ইঞ্জিনিয়ার বার্ট রুটানের সঙ্গে।
এডি ওয়ান নামের ওই এয়ারক্রাফটি ফাইবার ক্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটির ওজন ছিল মাত্র ১৫০০ পাউন্ড। বিমানটিতে দুটি ছোট জেট ইঞ্জিন এবং ল্যান্ডিং গিয়ার যুক্ত করা হয়।
তির্যক ডানাটি ইঞ্জিনের সামনে অবস্থান করছিল। টেক-অক এবং ল্যান্ড করার স্বার্থে ডানাটি প্লেনের সাথে লম্বভাবে সেট করা হয়েছিল। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো বিমানটি একটি নির্দিষ্ট গতিতে পৌঁছে গেলে ডানাটি ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেঁকে যেতে পারত।
১৯৭৯ সালের ২১ শে ডিসেম্বরে এডি ওয়ান বিমানটি সর্বপ্রথম আকাশে উড়েছিল। ওই সময় বিমানের পাইলট বেশ নার্ভাস ছিল। এ গবেষণাটি পুরোপুরি সফল হওয়া সত্ত্বেও তির্যক ডানার বিষয়টি জটিল হওয়ার কারণে কোন কোম্পানি তেমন আগ্রহ দেখায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।