আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পরপরই চলতি বছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দেশ হিসেবে করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পর্যটননির্ভর দেশ হওয়া সত্ত্বেও লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দেশটির সরকার।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানায় থাইল্যান্ড। সবচেয়ে ঝুঁকিপ্রবণ দেশের তালিকাতেও নাম আসে দেশটির।
এর এক সপ্তাহের মধ্যেই চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকা লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। একইসঙ্গে, সীমানা বন্ধ করে বাইরের দেশের নাগরিকদের ওপরও থাইল্যান্ড ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২৮টির বেশি বিমান বন্দরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ দফতর। হট লাইন চালুর পাশাপাশি হাসপালতাল ও কমিউনিটি পর্যায়েও স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষভাবে জোর দেয়া হয় ডিজইনফেকশন বা জীবাণুমুক্তকরণের ওপর।
করোনা রোগী শনাক্তে চালু করা হয়েছে মোবাইল টেস্টিং। অনলাইনে স্বাস্থ্যগত তথ্য নিবন্ধন করার পর সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় হাজির হয় করোনাভাইরাস টেস্ট এম্বুলেন্স।
এছাড়া করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে থাইল্যান্ড। এইচআইভি ও এন্টিভাইরাল ওষুধ ওসেল্টামিভিরের সম্মিলনে বানানো ওষুধে বেশ কার্যকারিতা পেয়েছেন ব্যাংককের রাজাবিথি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



