জুমবাংলা ডেস্ক : লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাচারকারী চক্র পরিবারের কাছ থেকে যে মুক্তিপণ আদায় করেছে, তার সব টাকাই হাজী কামালের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে। এদের মধ্যে লালচান ও তরিকুল ইসলামের মুক্তিপণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন হাজী কামাল। লালচান নিহত হয়েছেন এবং তরিকুল মারাত্মক আহত হয়ে মিজদাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (১ জুন) দুপুরে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান এসব তথ্য জানান। এ ঘটনার সাথে জড়িত পাচারকারী চক্রের মূলহোতা হাজী কামালকে রাজধানীর গুলশান শাহজাদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। হাজী কামাল গত ১০ বছর ধরে অন্তত চার শত লোককে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠিয়েছেন। লিবিয়ার মিজদাহ শহরে নিহত ও আহতদের বেশিরভাগ লোককেই হাজী কামাল পাঠিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লিবিয়ায় হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ও আহতদের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী সবাই হাজী কামালকে মুক্তিপণের টাকা দিয়েছে। এরপরও কেউ সন্তানদের ফেরত পাননি। হাজী কামালকে গ্রেফতারের সময় পাওয়া ডায়রিতেও টাকা নেওয়ার তথ্য রয়েছে। কামাল নিজেও স্বীকার করেছেন টাকা নেওয়ার কথা। আর কামাল এসব টাকার একটি অংশ বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতেন।’
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান আরো বলেন, ‘কামালের কাছে পাওয়া ডায়রিতে অন্তত চার শত ভিকটিম ও তার পরিবারের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। এদের কাছ থেকে কামাল টাকা আদায় করেছেন। ওই ডায়রিতে ১০ জন দালালের তথ্য রয়েছে, যারা কামালের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এই দালালরা ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মাগুরা ও গোপালগঞ্জ এলাকা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে। এরা কলকাতা, মুম্বাই, দুবাই, মিশর ও লিবিয়াতে পাচারের কাজ করে থাকে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।