লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাউকে মন থেকে ভালোবাসার চেয়ে, মানুষ এখন দেখনদারি নিয়ে বেশি মেতে থাকে। কার কত সুন্দরী প্রেমিকা, কার প্রেমিকের কত ভালো চাকরি, কত দামি গাড়ি, উইকেন্ডে কে কত ভালো সময় কাটায়, এসবেরই তুল্যমূল্য বিচার নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আর এসব জাহির করার প্ল্যাটফর্মও প্রচুর। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামে প্রেমের সবটাই প্রকাশ্যে চলে আসে।
পারলে আপন, গোপন মুহূর্তগুলোও পোস্ট করে লোকের বাহবা কুড়িয়ে নেয় অনেকে।কিন্তু জানেন কি? প্রেম আরো গভীর হয় লোকচক্ষুর আড়ালে। কেন? কারণ প্রেমকে প্রকাশ্যে আনলে সমস্যা হতে পারে। যেমন-
অনলাইনে প্রেমের প্রকাশ ঘটলে মানুষ আবেগ হারিয়ে ফেলে। প্রেমের লেটেস্ট আপডেটই হয়ে ওঠে প্রেম টিকিয়ে রাখার মূল রসদ। গোটা দুনিয়া প্রেমের কথা জেনে যায়। লোকের আগ্রহ ও মন্তব্য বাড়তে থাকে। সম্পর্কের স্বতন্ত্রতা হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
ফ্রেন্ডলিস্টের বন্ধুরাই হয়ে ওঠে দর্শক। প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে ছবি তুলে কতক্ষণে পোস্ট করবে, সেটাই হয়ে ওঠে প্রধান লক্ষ্য। সেই ছবিতে গুচ্ছ গুচ্ছ কমেন্ট ও লাইকের বন্যা সম্পর্কটাকে বাঁচিয়ে রাখে বলে তাদের বিশ্বাস।
প্রেমিকাকে ভালোবাসা জানাতে তার ওয়ালে ভেসে ওঠে কোটেশনের ফোয়ারা।
সম্পর্ক প্রকাশ্যে এলে সবচেয়ে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারেন অভিভাবকরা। জানাজানি হলে, হয় তাঁরা সম্পূর্ণ বেঁকে বসেন। নয়তো বদনামের ভয়ে সময়ের আগেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। তাই সঠিক সময়ের আগে প্রেমের পরিণতি ঘটাতে চাইলে, বেশ কিছুদিন সম্পর্কটিকে মা-বাবার আড়ালেই রাখা ভালো।
তবে সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম থাকে। এ ক্ষেত্রেও আছে। এমন অনেক বাবা-মা আছেন, যাঁরা ছেলেমেয়েকে প্রেম করতে সাহায্য করেন। যদিও বিদেশের তুলনায় আমাদের সংখ্যাটা খুবই কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।