লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্পর্কে জড়ানো যেমন স্বাভাবিক, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সমস্যাটা হলো, প্রেমে পড়ার সময় দু’জনের সমান অংশ থাকে।
প্রেম ভাঙার সময় সে নিয়ম সব সময় খাটে না। এক জনের কারণেও প্রেম মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, আবার দু’জন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েও সম্পর্ক থেকে সরে আসেন অনেকেই।
একটি সম্পর্ক টিকবে ক- না তা আগেভাগে বলে দেওয়া মুশকিল। তবু দিনের শুরুটা দেখে নাকি দিনটি কেমন যাবে তা বলে দেওয়া যায়। সেভাবেই কিছু লক্ষণ দেখে বলে দেওয়া যায় সম্পর্ক কোন দিকে আগাচ্ছে।
জেনে নিন কোন লক্ষণগুলি বলে দিতে পারে সম্পর্ক ভাঙতে পারে!
যত্নের অভাব
প্রেমের শুরুতে যত্ন, ভালোবাসা কোনোটারই অভাব হয় না। কিন্তু সম্পর্ক পুরোনো হতে শুরু করলে সেসব ধীরে ধীরে ফিকে হতে শুরু করে। যদি আপনার প্রতি তার যত্নের অভাব টের পান, যদি পর্যাপ্ত সময় থাকার পরও যোগাযোগ কমতে থাকে তবে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আরেকবার ভাবার সময় হয়েছে।
শ্রদ্ধায় ঘাটতি
সম্পর্কে পরস্পরকে শ্রদ্ধার জায়গাটা খুব দরকার। বন্ধুর মতো খুনসুটি করলেও দিনের শেষে পারস্পরিক শ্রদ্ধাটা বজায় রাখা খুব দরকার। সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। কিন্তু কটু কথা, অপমান এগুলো দিনের পর দিন চলতেই থাকলে একসঙ্গে থাকা যায় না।
বিশ্বাসহীনতা
প্রেমের অন্যতম ভিত হল বিশ্বাস। তাই সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস, সন্দেহ, প্রতারণা ইত্যাদি ঢুকে পড়লে সেই সম্পর্ককে বাঁচানো কঠিন।
সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব না দিলে
কারও কারও আবেগ একটু বেশি থাকে। তারা হয়ে থাকে সংবেদনশীল স্বভাবের। সঙ্গীর সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আবেগী বা সংবেদনশীল কেউ যদি বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হতে থাকে, তবে তা মোটেই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সঙ্গীর সংবেদনশীলতা যদি বিরক্তির কারণ হয় তবে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।
বন্ধুত্বে বাধা
সব সম্পর্কেই বন্ধুত্ব থাকা প্রয়োজন। বন্ধুত্বহীন কোনও সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই সম্পর্কে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেলে তার মেয়াদ যে ফুরনোর পথে তা বলে দেওয়া যায়। বন্ধুত্বে অনেক কিছুই বলা যায়, ভাগ করে নেওয়া যায়। প্রেমের সম্পর্কেও ঠিক তেমনই কমফর্ট জোন থাকা উচিত।
ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে না নিলে
প্রায় সব সম্পর্কে কিছু না কিছু বোঝাবুঝি হতে পারে। সেসব দুজনের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এটুকুও না থাকলে সেই সম্পর্ক গতিহীন ধরে নিতে হবে। যদি এই সমস্যা বাড়তেই থাকে তবে সতর্ক হোন। কারণ বারবার নিজেকে ব্যাখ্যা করার মতো ধৈর্য থাকে না। ভুল বোঝাবুঝির পাহাড় গড়ে উঠলে তা অতিক্রম করার সাধ্য থাকবে না।
এই ক্রিকেটারকে নিজের ছেলে বানানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন নীতা আম্বানি!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।