জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ প্রথম থেকে যেসব ছবি প্রকাশ করেছিল তা এখনো মানুষের চোখে ভাসছে। হাবল টেলিস্কোপে তোলা ছবিগুলোর সাথে এর যথেষ্ট মিল রয়েছে। তবে জেমস এর ছবি আরও বেশি স্পষ্ট তথ্যে সমৃদ্ধ এবং সৌন্দর্য্যে ভরা।
তবে দুই টেলিস্কোপের মধ্যে কার্যপ্রণালীতে পার্থক্য রয়েছে। হাবল আলট্রা-ভায়োলেট লাইট দিয়ে ছবি দেখতে সক্ষম। আর জেমস ওয়েব ইনফ্রারেড বর্ণালীর সহায়তা নেয়। জেমস ওয়েবের সাহায্যে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মাধ্যমে আমরা যখন মহাবিশ্বের ছবি দেখি তখন তা খুবই বৈচিত্র্যময়।
ছবিতে ধুলা-পাথর এবং ধাতব অনুর দীর্ঘ কার্বন চেইন দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয় মৃত তারা থেকে। দৃশ্যমান আলোতে মহাবিশ্বকে আমরা ধূলিকণা ও মেঘের আড়ালে অন্ধকার দেখি। কিন্তু ইনফ্রারেড বর্ণালীর সাহায্যে আমরা জ্বলজ্বলে ছবি দেখতে পাই।
হাবলে তোলা গ্যালাক্সি NGC 7496 এর ছবিতে দেখা যায় তারকারা খুবই সুস্পষ্ট। তারকার জন্মের স্থান দেখতে নীল রঙের। তারাগুলি আলোকিত তবে তারা খুব বেশিদিন বাঁচে না। তারার আকার অনেক বড় এবং মারা যাওয়ার পর প্রচুর ধুলা উৎপন্ন হয়।
তবে একই ছায়াপদ্ধতি জেমস ওয়েব এর মাধ্যমে দেখলে দেখা যায় যে এখানে তারা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না। ধূলিকণা জ্বলজ্বল করছে এবং তাদের আলো স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। ধূলিকণা এবং ঠান্ডা গ্যাসের মেঘ এর অস্তিত্ব স্পষ্ট। সাধারণত এ ধরনের স্থানে হাজার হাজার তারা জন্ম নেয়।
বিজ্ঞানীরা দুই টেলিস্কোপে তোলা ছবি সমূহ এভাবে জুম করে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। এর ফলে তারার জন্মপদ্ধতি, তাদের বিন্যাস ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।