বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের কোন ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে আর মানুষের প্রয়োজন নেই? বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম এআই টুল চ্যাট জিপিটির কাছে। ১ মিনিটে আমাকে একটি তালিকা তৈরি করে দেয় এআই, সেখানে ডেটাÑএন্ট্রি ও এডিটিং,ওয়েব ডেভলপমেন্ট,কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন,কপি রাইটিং এর বিভিন্ন দিকের কথা উল্লেখ করা হয়। ভিন্ন আরেকটি উত্তরে উঠে আসে ডিজিটাল মার্কেটিং,সফটওয়ার ডেভলপমেন্ট বা বই লেখার মতো বিষয়ও। মানুষের কাজের সুযোজকে হুমকিতে ফেলার প্রসঙ্গে আরর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট বা এআই নিয়ে আলোচনা এখন বিশ্ব জুড়ে। খবর বিবিসি বাংলার
বাংলাদেশেও পরেছে এর প্রভাব। আহনাফ মহির (ফ্রিল্যান্সার) মতে এআই আসার কারণে বর্তমানে তার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজের যে চাহিদা ছিলো, যে পরিমান প্রজেক্ট পেতো যেমন বিভিন্ন ইমেজ ক্রিয়েশন,বার্গ ফিক্সিং, ওয়েব ডেভলপমেন্ট দৈনন্দিন চলার যে খরচ সেটা চালাতে তার একটু হিমসিম খেতে হয় যেহেতু সে ফ্রিল্যান্সিং করে তার পড়াশুনার খরচ সহ সব খরচ এখান থেকে চালায়। ব্যক্তি পর্যায় ছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ফ্রিল্যাস কাজ করানো সংস্থাগুলো ও অনেক ক্ষেত্রে দেখছে মানুষের চাহিদার কমতি। মো. মুনতাসীর রহমানের মতে (সিইও ও ফাউন্ডার,রাইটার্স মোশন) হিউম্যান কন্টেন্ট রাইটিং ত্রর ডিমান্ড কমেছে আগে থকে কাইন্ড অফ লাইক এ ৩০ টু ৪০% ডিক্রিজ অন এ্যাভারেজ। এআই আসার পর কন্টেন্ট এর দাম আনেক কমেছে ত্রখন একটা টুল দিয়ে আপনি একজন হিউম্যানের কাছ থেকে আরও বেশি কন্টেন্ট প্রডিউস করতে পারবেন আরও কম খরচে। ইন্ড্রাসট্রিটে এখন যেটা করা হচ্ছে একজন ফ্রিল্যাসার বা রাইটার যেই হোক না কেনো তারা মূলত অফার করে যে আরও খুব কম দামে এআই দিয়ে একটা কন্টেন্ট প্রডিউস করে ওইটার উপর সে ম্যানুয়াল ইন্টারওগেশন করবে। বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তি প্রতি নিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে আরও আপডেট হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমওার টুলগুলো অনেক স্ম্যার্ট হলেও ত্রখন ও অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি নিখুঁত না। তাই অনেকে আছেন যারা কাজ হারানোর ঝুঁকি এখনও সে ভাবে টের পাচ্ছেন না।
কানিজ ফাতেমা কামাল (ফিল্যান্সিং প্রশিক্ষক) এর মতে এআই এর কারণে প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে সব কিছু তাই এআই এর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিনিয়ত নিজেকে ও নিজের কাজকে আপডেট করতে হচ্ছে। কৃত্রিম বুিদ্ধমত্তার কারণে এক দিকে যেমন কাজ কম আসছে তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কাজের সুযোগ। যেমন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুল গুলো ব্যাবহার করে আরও কম সময়ে বেশি কাজ করে দেয়ার সুযোগ হচ্ছে অনেকের। তাই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের এ আই টুলের ব্যবহার জানাটাও গুরুও পাচ্ছে এখানে।
জাকির হোসেন (ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখক ও বিশেষঙ্গ) এর মতে নিজেকে আপডেট করতে হবে,নিজের স্কিল বাড়াতে হবে, যে সব কাজ এআই দ্বারা করা যায় তা শিখতে হবে। যারা এআই টুল ব্যাবহার করে কাজ করতে পারবে তারা কয়েক গুন দ্রুত কাজ করতে পারবে। তখন তার আরনিংও বেশি হবে ধরেন প্রতি ১০ জনে ১ জন এআই টুল ব্যবহার করে কাজ করে আর বাকি ৯ জন হারাবে চাকুরি। কারণ ওই ৯ জনের কাজ একজনে করতে পারবে। বাংলাদেশে খুব দ্রত গতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যাসিং সেই সাথে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। এর মাঝে টিকে থাকতে কাজের মান ও দক্ষতার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে মানুষের চাহিদা ফুরিয়ে যাবে না পাশাপাশি ত্রমন মত ও রয়েছে। তবে খুব সাধারন মানের কাজ দিয়ে ত্র আই কে পাল্লা দেওয়াটা যে কঠিন হবে তা মুটামুটি পরিষ্কার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।