আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার নির্দেশনার পর ১২ দিন ধরে ইউক্রেনে ব্যাপক পরিমাণ হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। বিবিসি।
মারিউপোল, খারকিভের মত বড় শহরগুলোতে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে রাশিয়া। চিকিৎসা, শিক্ষা, খাদ্যব্যবস্থাসহ সবকিছু এখন হুমকির মুখে।
দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামলা বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে। আর এমন সময় রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের দেয়া শর্ত মেনে নিলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা বন্ধ করে দেবে তারা।
এ ব্যাপারে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন তাদের শর্ত হলো, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া।
দ্বিতীয় শর্ত হলো ইউক্রেন ন্যাটো বা অন্য যে জোটগুলোতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি পরিত্যাগ করতে হবে এবং তাদের সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।
২০০৮ সালে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করে ইউক্রেন।
মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ আরো জানিয়েছেন, ইউক্রেনে এখন তারা বিশেষ অভিযান চালালেও নতুন করে ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
ফলে ইউক্রেন যদি তাদের শর্ত মেনে নেয় তাহলে যে কোনো মূহুর্তে হামলা বন্ধ করে দেয়া হবে।
যুদ্ধের দামামার মাঝে কিয়েভেই বিয়ে করলেন ইউক্রেনের সেনা যুগল (ভিডিও)
এদিকে, দিনে দিনে ইউক্রেনের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় বিশ্বনেতারা ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করার জন্য রাশিয়াকে হুমকি-ধামকি ও নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। কিন্তু এতে একটুও পিছপা হয়নি রাশিয়া। উল্টো হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তারা।
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। আলোচনা বা যুদ্ধ যে কোনো এক উপায়ে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করবে।
নিষেধাজ্ঞার উল্টো ফল ভুগতে শুরু করেছে আমেরিকাও, বিপাকে বাইডেন প্রশাসন?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।