মহেন্দ্র সিং ধোনির মত ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নন বিরাট কোহলি- এ কথা বলে ক্রিকেবোদ্ধাদের অনেকেই বলে থাকেন। আসলেই তাই। ধোনি অধিনায়কত্ব কোহলির হাতে তুলে দিলেও এখনো অনেক সিদ্ধান্তে তিনিই রাখেন বড় ভূমিকা। তবে যখন কোহলিকে একা কোনো সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তখনই যেন বিগড়ে যায় বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মেজাজ!
চলতি দ্বাদশ আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে মেজাজ হারিয়ে একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন বিরাট কোহলি। সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচেও আম্পায়ারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এক চোট বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। রোহিত শর্মা এসে ভারতীয় অধিনায়ককে শান্ত না করলে কোহলিকে হয়ত পেতে হত শাস্তি!
আর সেই ভাবী শাস্তিই নিষেধাজ্ঞার হুমকির জাগরণ ঘটাচ্ছে। শাস্তির মাত্রা নির্দিষ্ট পয়েন্ট ছুঁলে কোহলিকে থাকতে হতে পারে মাঠের বাইরে!
এদিকে আইসিসির ডিমেরিট পয়েন্টের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাস সময়সীমার মধ্যে কোনো ক্রিকেটার ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তা সাসপেনশন পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর ফলে দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের জন্য একটি টেস্ট অথবা সীমিত ওভারের একটি ম্যাচে করা হবে নিষিদ্ধ।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের বিরুদ্ধে কথা বলে নামের পাশে যুক্ত করেছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। বাংলাদেশের ইনিংসের ১১তম ওভারে সৌম্য সরকার ব্যাট করার সময় ডিআরএসের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে আসায় রিভিউ খোয়ান কোহলির মেজাজ চটে যায়।
তবে এই কারণে এখনো কোহলিকে কোনো শাস্তির ঘোষণা দেয়নি আইসিসি। তবে কোহলিকে সতর্ক থাকতে হবে এই কারণে- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে একই আচরণ করে তিনি পেয়েছিলেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট! ইতোমধ্যে তার নামের পাশে তাই জ্বলজ্বল করছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।