বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার একসময়ের সফল জুটি ছিলেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। পর্দায় তাদের রসায়ন বাস্তব জীবনেও রূপ নেয়।বিয়ে করেন দুজনে।কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন টিকেনি।শেষ পর্যন্ত তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
অনেকেই মনে করেন, অপু আজকের অবস্থানে আসার পেছনে শাকিবের অবদান অনেকটাই। এবার অপু নিজেও বিষয়টি স্বীকার করলেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও শাকিবের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা সবসময় থাকবে তার। পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে ঢালিউড নায়িকা একথা বলেন।
বর্তমান ‘আজকের শর্টকাট’ সিনেমার প্রচারণায় অংশ নিতে কলকাতায় অবস্থান করছেন অপু। সিনেমাটি মুক্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার।
সিনেমাটির প্রচারণার ফাঁকে কলকাতার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এও জানান, শাকিবকে বিয়ে করাটা তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আব্রাহাম খান জয়ের মতো ছেলের মা হয়ে তিনি দারুণ খুশি।
অপুর মন্তব্যটি দেশের গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরাও নানারকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া শুরু করেন। এর মধ্যে দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে অপু জানান, এত দিন পেরিয়ে এখন এমনটিই মনে হয় তার।
তবে বিচ্ছেদ হলেও শাকিবের প্রতি এখনো সম্মান আছে বলে জানালেন অপু। তিনি বলেন, ‘হয়তো আজ আমাদের দুজনের পথ দুই দিকে। কিন্তু সন্তানের বাবা হিসেবে শাকিবের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা সবসময় থাকবে। ছেলে জয়ের প্রতি শাকিবের অপরিসীম ভালোবাসা।
বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে শাকিবের অবদান স্বীকার করে অপু বলেন, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে অনেক ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন। কিন্তু আমাকে তা হতে হয়নি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই সহশিল্পী হিসেবে শাকিবকে পেয়েছি। আমাদের দারুণ একটা জুটি তৈরি হয়। শাকিবের কারণেই ইন্ডাস্ট্রির সবাই আমাকে সম্মানের চোখে দেখেছে। তার কারণেই অনেক সিনেমায় কাজ করতে পেরেছি। এসব তো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
একসঙ্গে কাজের সুবাদেই সম্পর্কে জড়ান শাকিব ও অপু । ২০০৮ সালে গোপনে বিয়েও করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর সে খবর গোপন রাখেন তারকা জুটি।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়ের। এর পর ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ছেলে জয়কে নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সব কিছু প্রকাশ করেন অপু।
এ ঘটনার সাত মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব। অবশেষে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পার হলে আইনগতভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।