জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করেছে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত-অনুসারীরা। রোববার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মসজিদে এসব ঈদের জামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কোনো মাঠে জামাত না হয়ে এলাকার মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ানো হয়। গত দেড়’শ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ঈদগাহে জামাত হয়নি। নামাজ শেষে করোনা থেকে মুক্তি ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন জানান, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা প্রায় দেড়’শ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ উদযাপন করেন।
মাদারীপুরের তিন উপজেলার যেসব স্থানে মুরিদ রয়েছে সেসব এলাকার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকেও বিরত ছিলেন তারা।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সুরেশ্বর পীরের মুরিদ মোত্তাকিন আহমেদ সোহেল ফকির বলেন, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মধ্যপ্রাচ্য হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা রাখি ও ঈদ উদযাপন করি।
এছাড়া মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্টিসহ মাদারীপুর জেলার ৩ উপজেলার ৪০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



