টলিউড থেকে বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। এদিকে যীশু ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের দাম্পত্যে ফাটল ধরেছে বলে গত কয়েক দিন ধরেই এই গুঞ্জনেই মুখরিত টলিপাড়া।
এ খবর শুনতেই বিস্ময় প্রকাশ ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করেছে অনেকেই। ইতোমধ্যেই নিজের নামের পাশে সেনগুপ্ত পদবি মুছে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। টলিগঞ্জে গুঞ্জন, বিবাহবিচ্ছেদের দিকেই এগোচ্ছেন চর্চিত এই দম্পতি।
জানা যায়, ইতোমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকা শুরু করেছেন যীশু। এবার বাবাকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত। নীলাঞ্জনা-যীশুর দাম্পত্যে ভাঙনের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই স্বামীকে ইনস্টাগ্রামে আর অনুসরণ করেন না যীশু-পত্নী। এবার মায়ের মতো মেয়েও একই সিদ্ধান্ত নিলেন। বাবাকে ইনস্টাগ্রামে আর অনুসরণ করছেন না সারাও।
সপ্তাহখানেক আগে নীলাঞ্জনা একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে যীশু-পত্নী জানান, তার শক্তির উৎস হলেন তার দুই মেয়ে সারা ও জারা এবং বোন চন্দনা। সেই পোস্টে যীশুর উল্লেখ ছিল না কোথাও। সচেতন ভাবেই ঊহ্য রেখেছিলেন তাকে। এই পোস্টের কারণেই জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়, তাদের সংসারে চিড় ধরেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুঞ্জন তাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে। মুম্বাই গিয়েই নাকি এই মহিলার সঙ্গে যীশুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তার জেরেই সংসারে ভাঙন। তার পরই মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে সারা লেখেন, ‘স্ট্রংগেস্ট উওম্যান ইন দ্য গেম।’ অর্থাৎ, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা।’ বার বার মাকে সাহস জুগিয়ে এসেছেন সারা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে, মায়ের পাশে রয়েছেন, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন যীশু-কন্যা!
এর আগে ২০০৪ সালে নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন যীশু সেনগুপ্ত। ধারাবাহিক, টেলিসিরিজের পর্দায় যীশু তখন জনপ্রিয় মুখ। অঞ্জনা ভৌমিকের জেষ্ঠকন্যা নীলাঞ্জনাও তখন অভিনয়জগতে বেশ জনপ্রিয়। তার পর যীশু-নীলাঞ্জনার প্রেমমাখা সুখের সংসার সারা এবং জারা দুই কন্যাসন্তান এল। কানাঘুষো বিচ্ছেদের জল্পনা-গুঞ্জন যতই শোনা যাক না কেন, আশা করা যায় এই দূরত্ব ঘুচে গিয়ে আবারও সুখীদম্পতি হিসেবে একফ্রেমে ধরা দেবেন তারা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে টালিউড, বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যস্ত যীশু সেনগুপ্ত। জাত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে চিনিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। বেশিরভাগ সময়ই মুম্বাইতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।