নিউট্রিনো মিথস্ক্রিয়া করে মূলত দুর্বল নিউক্লিয়ার বলের মাধ্যমে। তা-ও এত দুর্বলভাবে করে যে মানবদেহের আকারের কোনো কণা-শনাক্তকারী যন্ত্র যদি বানানোও হয়, তাহলেও ১০০ বছরে হয়তো একটি নিউট্রিনো এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। আর এর ফলে যে অতি সামান্য শক্তি তৈরি হয়, সেটা শনাক্ত করতে করতে লেগে যাবে মোটামুটি এক লাখ বছর।
তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু হার মানেননি। অনুমান করার পর ৩০ বছর পেরোনোর আগেই শনাক্ত করা হয় এ কণা। ১৯৫৬ সালে মার্কিন পদার্থবিদ ফ্রেডরিক রেইন এবং ক্লাইড কোয়ান নিউট্রিনো কণাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। সেগুলোর উৎপত্তি ছিল পারমাণবিক চুল্লিতে। তবে একটু বড় পরিসরে গবেষণার জন্য উচ্চ শক্তির নিউট্রিনো কণা শনাক্ত করা একটা বড় সমস্যা হয়েই ছিল দীর্ঘদিন।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলজিয়ান বংশোদ্ভূত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ফ্র্যান্সিস হ্যালজেন চমৎকার এক আইডিয়া দাঁড় করালেন। বললেন, বিশেষ ব্যবস্থায় ছলনাময়ী এই নিউট্রিনোদের নিয়মিত হারেই ধরা সম্ভব। এভাবেই শুরু হলো আইসকিউব অবজারভেটরি নির্মাণ প্রকল্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।