আমাদের মস্তিষ্ক হলো একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মতো। এটা চিন্তাভাবনা, হৃদ্যন্ত্রের কাজ নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যের পরিপাক প্রক্রিয়া পরিচালনাসহ বেঁচে থাকার জন্য আমাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন করে। নির্দেশ প্রদান করে। আর স্নায়ুতন্ত্র এই সব নির্দেশ বা সংকেত পরিবহন করে প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পৌঁছে দেয়।
ধরা যাক, আমার হাতে একটা মশা বসে আচ্ছাসে কামড়াতে শুরু করল। এই খবর ত্বকে বিস্তৃত স্নায়ুতন্ত্রের শাখা–প্রশাখার কোষগুলো বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠাবে। শুধু অনুভূতিটাই পাঠাবে, স্নায়ুকোষগুলোর কিন্তু চিন্তা করার সক্ষমতা নেই। মশা না অন্য কোনো পোকা, কী করা দরকার প্রভৃতি চিন্তা সে করতে পারে না।
শুধু সংকেত পরিবহনই তার কাজ। মস্তিষ্কের সামনের অংশের কাজ হলো চিন্তা করা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটা আবার সংকেতের আকারে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া। যেমন এই ক্ষেত্রে সংকেত পাওয়ামাত্রই মস্তিষ্ক করণীয় বিষয়ে চিন্তা করে খবর পাঠায়, এখনই এক চাপড়ে মশাটাকে পিষে মারো! স্নায়ুকোষগুলো নিউরন নামেও পরিচিত।
মস্তিষ্কে নিউরন থেকে নিউরোট্রান্সমিটার নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের হয়, যা পার্শ্ববর্তী নিউরনগুলোতে বৈদ্যুতিক সংকেত সৃষ্টি করে। এই সংকেত হাজার হাজার নিউরনের ঢেউয়ের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কে চিন্তাভাবনার সূচনা ঘটে। বলা হয়, যখন নিউরনের প্রজ্বলন ঘটে, তখনই চিন্তাভাবনার শুরু। সুতরাং চিন্তার কাজটা মস্তিষ্কের, স্নায়ুতন্ত্রের নয়। তবে মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তার ধারাবাহিকতায় প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পরিবাহিত হয় স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।