বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: চীন অভিযোগ করেছে মহাকাশের আইনের শর্ত ভঙ্গ করে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশচারীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
এ নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি এমন সময়ে এলো যখন কয়েক সপ্তাহ আগে চীন জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করেছিল যে তাদের স্পেস স্টেশনকে অন্তত দু’বার মার্কিন কোম্পানি স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইটের সাথে সরাসরি সংঘর্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল।
এরপরই চীনের সামাজিক মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন ইলন মাস্ক এবং তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। চীনা নাগরিকরা অনলাইনে হাজির হন টেসলার শতকোটিপতি প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের ওপর তাদের তীব্র ক্ষোভ ঝাড়তে করতে।
জাতিসংঘের আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্স’র কাছে দেয়া চীনা প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১লা জুলাই এবং ২১শে অক্টোবর সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
সে সময় সংঘর্ষ এড়াতে চীনের স্পেস স্টেশনে বিশেষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়। তবে বিবিসি এবিষয়ে জানতে চাইলে স্পেসএক্স-এর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর চীনা মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম উইবোতে ইলন মাস্ক, তার প্রজেক্ট স্টারলিংক ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
উইবোর একজন ব্যবহারকারী স্পেসএক্স স্যাটেলাইটগুলিকে যুদ্ধাস্ত্র বলে বর্ণনা করেছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে বলেছেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও এ ধরনের সংঘর্ষের ঝুঁকির বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট সম্পর্কে তারা যথাযথ তথ্য প্রদান করার অনুরোধ করেছেন।
স্পেসএক্স তাদের স্টারলিংক প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৯০০টি স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে। এছাড়াও আরও হাজার খানেক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।