আপনার আশপাশেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের কারণে আপনি ভালো থাকতে পারছেন না। আর আশপাশের মানুষের কথা ভাবলে আমাদের প্রথমেই মাথায় আসে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কথা। সে অর্থে পরিবার বদলানো বা বাছাই করার সুযোগ না থাকলেও বন্ধু বা সঙ্গী নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতন আমরা হতেই পারি। আপনার জীবনের প্রতিটি স্তরে যেসব মানুষ প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রভাব ফেলছে, তাদের বাছাই করতে সতর্ক না হলে শেষটায় আপনাকেই ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ৩ ধরনের মানুষকে একেবারে এড়িয়ে চলুন।
নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন ব্যক্তি
বলা হয়ে থাকে, যদি একটি মিথ্যা বা নেতিবাচক কথা বারবার বলা হয়, তবে একটা পর্যায়ে আপনি তা বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। ভাবুন, আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রকে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু আপনার কোনো এক সহকর্মী অফিসে পা রাখা মাত্রই আপনার কাছে আপনার কর্মক্ষেত্র বিষয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেন; প্রিন্টারটা কেন নষ্ট, অফিসের এসিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না, ডেস্কগুলো ছোট ইত্যাদি।
একটি পর্যায়ে লক্ষ করবেন যে আপনার মনেও এই বিষয়গুলো গেঁথে যাচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্র নিয়ে আপনার মনে বিরক্তি সৃষ্টি হচ্ছে। নেতিবাচক মনোভাব সংক্রামক রোগের মতো। তাই নিজের মানসিক শান্তি রক্ষা করতে চাইলে নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলুন।
ঈর্ষাপরায়ণ ব্যক্তি
কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করার অন্যতম একটি বিশেষ দিক হলো দুঃখ-বেদনা ছাড়াও নিজের আনন্দ আর সাফল্যগুলো তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। স্বাভাবিকভাবেই আমরা আশা করি যে আমাদের বন্ধু আমাদের সাফল্যে আনন্দিত হবে। তবে এমন কিছু বন্ধুও থাকেন, যাঁরা আপনার সাফল্যে আনন্দিত হওয়া দূরে থাক, উল্টো আপনার বিরুদ্ধে কটু কথা বলতে দ্বিধা করে না। এমন চলতে থাকলে আপনি হয়তো বন্ধুত্ব রক্ষার্থে নিজের সাফল্যগুলোকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। হাতেগোনা কিছু মানুষের জন্য নিজের কষ্টার্জিত সাফল্য লুকিয়ে রাখার চেয়ে বরং এ ধরনের বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন।
পরচর্চার অভ্যাস আছে যাদের
আমরা কমবেশি সবাই এমন কাউকে চিনি, যাঁর কাছে সবার হাঁড়ির খবর পাওয়া যায়। এবার ভাবুন যে এই ব্যক্তি আপনার বন্ধু। আপনি বন্ধু হিসেবে তাঁকে একান্ত গোপনীয় কোনো বিষয়ে জানালেন। আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তিনি জেনে গেলেন।
আর কিছুদিনের মধ্যেই দেখলেন যে আপনার একান্ত গোপনীয় বিষয়টি ইতিমধ্যে সবার চায়ের কাপে ঝড় তুলছে। এরা এর কথা তাকে আর তার কথা ওকে বলতে থাকে কাউকে না বলার দোহাই দিয়ে। তাই পরচর্চাকারী ব্যক্তি আপনার যতই কাছের কেউ হোক না কেন, এ ধরনের মানুষদের বন্ধুর মর্যাদা না দেওয়াটাই শ্রেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।