স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির গোল উদযাপন ভক্তদের অজানা থাকার কথা নয়। বুকে ক্রুশ আঁকবেন এবং দুহাত আকাশে তুলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাবেন। এমনটাই হয়ে আসছে এত কাল। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর। ডাচদের বেঞ্চের সামনে গিয়ে হাত দুটো কানের পেছনে নিয়ে করতালু ছড়িয়ে দিয়ে অন্যরকম এক ভঙ্গি করলেন।
অচেনা এই গোল উদযাপন দিয়ে মূলত আর্জেন্টিনার হুয়ান রোমান রিকেলমের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মেসি। রিকেলমে গোল করলেই কানের পেছনে হাত নিয়ে এভাবে উদযাপন করতেন। এমন উদযাপন অনেক গণমাধ্যম শিশুদের কার্টুনের নামে ‘টোপো গিগিও সেলিব্রেশন’ হিসেবে প্রচার করছে। এ কার্টুন চরিত্রের আবার খুব ভক্ত ছিলেন রিকেলমে।
কিন্তু হঠাৎ করে মেসির এমন উদযাপন করার হেতু খুঁজছেন অনেকেই। এর পেছনের কারণ জানতে হলে আপনাকে বিশ বছর ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে।
বোকা জুনিয়র্সে কিংবদন্তিতুল্য রিকেলমে ক্লাব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বার্সেলোনাকে। সেসময় কাতালান ক্লাবটির কোচের দায়িত্বে ছিলেন লুই ফন গাল। কিন্তু তার সঙ্গে রসায়নটা ভালো ছিল না আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের। সে সময় ফন গাল প্রকাশ্যে বলছিলেন, রিকেলমেকে তিনি পছন্দ করে কেনেননি; এটা ক্লাবের পলিটিক্যাল সাইনিং। ফলে রিকেলমের খুব একটা মাঠে নামা হতো না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটা ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন রিকেলমে। আর সেখানেই গোল করে এই ‘টোপো গিগিও সেলিব্রেশন’ করেছিলেন ফন গালের দিকে ফিরে। বার্সেলোনার সেই ফন গাল এখন নেদারল্যান্ডসের কোচ। গোলের পর তাই তার পানে চেয়ে নিজের চেনা উদযাপনের বাইরে গিয়ে এমন উচ্ছ্বাসটা সে কারণেই করেছেন মেসি।
উল্লেখ্য, মেসি-রিকেলমে একে অপরকে ভাইয়ের মতো দেখতেন। তবে শেষদিকে দুজনের মধ্যে কিছুটা গোলমাল হয়। তবুও সতীর্থ ভাইকে মনে রাখলেন। বিশ্বমঞ্চেও ফিরিয়ে আনলেন!
এদিকে, মেসির সঙ্গে ফন গালের লড়াইটাও নতুন নয়। সাধারণত যেকোনো ম্যাচের আগে লড়াইটা হয় ফুটবলার বনাম ফুটবলার, কোচের সঙ্গে কোচের। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসি বনাম ফন গাল—এমন লড়াইয়ের আবহটা ছিল।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার পায়ে যখন বল থাকে না, মেসি তখন কিছুই করেন না। এটাকেই কাজে লাগাতে চান। মেসি কথাটা মোটেই ভালোভাবে নেননি। ম্যাচশেষে বলেছিলেন, তার (ফন গাল) ওই কথায় অপমানিত বোধ করেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।