জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুল হক (৩৫)। তাকে অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ কারণে দুই আসামিকে রিমান্ডে নিলেও আসাদুলকে এখন পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়নি।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে রমেক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে র্যাবের প্রহরায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। আসাদুল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি।
আসাদুল অসুস্থ বোধ করায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে রমেকে ভর্তি করা হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় র্যাব-১৩ রংপুরের পক্ষ থেকে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয় সেখানে গ্রেফতার অপর দুই আসামিকে হাজির করা হলেও আসাদুলকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়নি।
র্যাব জানিয়েছে, আসাদুল হক, নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাস র্যাবের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলার দায় স্বীকার করে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আসাদুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিষয়টি নিশ্চিত করে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আসাদুলের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে শুক্রবার রাতেই র্যাব সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর তাকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। করোনা সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে হাসপাতাল থেকে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।