বিনোদন ডেস্ক: টালিউড ও বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তার ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’তে অভিনয় করেই জাতীয় পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে হিন্দি সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। ৭০ দশকে ধীরে ধীরে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমানো মিঠুন চক্রবর্তী। আশির দশকে তিনি বলিউড রাজত্ব করেন।
তবে নায়কের বলিউডের জার্নি খুব একটা মসৃণ ছিল না। সাফল্যের জন্য বহু কাঠখড় পোহাতে হয়েছিল তাকে।
এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন জানান, বলিউডে তার সংগ্রাম খবুই ‘হতাশাজনক’ ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তা নিয়ে কথা বলে সবাইকে হতাশ করতে চাই না।
মিঠুন জানিয়েছিলেন, ‘আমি কারও নাম নিতে চাই না। এটা তখনকার কথা যখন বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তখন কানে আসতো অনেক নায়িকাই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতো না। কারণ অন্যান্য নায়করা চাইতো না সেই সব নায়িকারা আমার সঙ্গে কাজ করুক। অনেক বাধা এসেছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি শুধু ভাবতাম, আমার মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে কেউ আমায় আটকাতে পারবে না। একদিন এরাই আসবে আমার সঙ্গে কাজ করতে। আমি ভাবতাম আমার মধ্যেই হয়তো কোনো খামতি আছে। নিজেকে আরও ভালো করে তৈরি করার জেদ আমার মনে চেপে বসতো।’
এ পর্যন্ত ৩০০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মিঠুন। এর মধ্যে বাংলা, পাঞ্জাবি, তেলেগু, ওড়িয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মিঠুন জনপ্রিয় হন ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ সিনেমার জন্য। ২০০৯ সাল থেকে রিয়েলিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’র প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয়তা পাওয়া এই তারকা অভিনেত্রী যোগীতা বালীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। শেষ জীবনে এসে ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে খানিকটা টালমাটাল সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন অনেক আগে। শুরুতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতির ময়দানে পা দেন। এরপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।