অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে ইনজুরির কারণে খেলা ছেড়ে বিদায় নিতে হলো নোভাক জকোভিচকে। তবে কোর্ট ছাড়ার সময় রড লেভার এরেনার কিছু দর্শকের কাছ থেকে হাসি-তামাশা ও দুয়োধ্বনি শুনতে হয় এই সার্বিয়ান তারকাকে।
৩৭ বছর বয়সী জকোভিচ, যিনি রেকর্ড ১১তম শিরোপার জন্য লড়ছিলেন, জার্মানির আলেকজান্ডার জেভরেভের বিপক্ষে প্রথম সেট ৭-৬ (৭-৫) হেরে খেলা ছেড়ে দেন। মঙ্গলবার কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সময়ই বাঁ পায়ের ওপরের অংশে চোট পান তিনি। সেমিফাইনালে খেলতে নামলেও তার পা ছিল ভারী টেপে মোড়ানো।
ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেন, ‘পায়ের পেশির এই চোট সামাল দেওয়ার জন্য যা যা সম্ভব করেছিলাম, করেছি। কিন্তু প্রথম সেটের শেষের দিকে ব্যথা আরও বেড়ে যায়, যা আর সহ্য করতে পারছিলাম না।’
প্রথম সেটের শেষ পয়েন্টে ভলি নেটে মারার পরই জকোভিচ জেভরেভের কাছে গিয়ে হাত মেলান এবং খেলা ছেড়ে দেন। ৮০ মিনিটের খেলার পর দর্শকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় জানালেও কিছু অংশের দুয়ো শোনা যায়।
সাত নম্বর বাছাই জেভরেভ বলেন, ‘আমি জানি সবাই টিকিট কেটেছেন, কিন্তু একজন খেলোয়াড় যখন ইনজুরিতে থাকে, তখন দয়া করে তাকে দুয়ো দিবেন না। জোকোভিচ আমাদের খেলাটার জন্য অনেক কিছু করেছেন। ইনজুরিতে থাকলে তিনি সত্যিই খেলতে পারবেন না।’
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে জেভরেভ মুখোমুখি হবেন ইতালির শীর্ষ বাছাই জান্নিক সিনার কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ২১তম বাছাই বেন শেলটনের।
মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে আলকারাজের বিপক্ষে খেলার সময়ই জকোভিচের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেসময় ড্রপ শটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর মুখে ব্যথার অভিব্যক্তি দেখা যায়। এরপরও ২১ বছর বয়সী প্রতিপক্ষকে হারান তিনি।
তবে সেমিফাইনালের আগে অনুশীলন বাতিল করেন জকোভিচ। এমনকি ম্যাচের আগেও মাত্র এক ঘণ্টা কোর্টে গা গরম করেছিলেন। এর আগে ২০২৩ সালের শিরোপা জয়ের সময়ও ইনজুরি নিয়েই খেলেছিলেন তিনি।
এই ইনজুরি সামলে কোর্টে ফেরার লড়াইয়ে নামার আগে, জকোভিচের বিদায় যেমন তাঁর সমর্থকদের জন্য হতাশাজনক, তেমনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেভরেভও এটি এক রকম অপ্রত্যাশিত বলেই মনে করেছেন।
কোর্টে আবার কবে ফিরতে পারবেন জকোভিচ, সেটি এখনো অনিশ্চিত। তবে তার বিদায় দর্শকদের আচরণ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।