আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তেলুগু দেশমকে বিমান মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিলেও চন্দ্রবাবু নাইডু লোকসভার স্পিকারের পদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। মোদির তৃতীয় মেয়াদে শপথগ্রহণের পরের দিন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি ও একনাথ শিণ্ডের শিবসেনা বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপি সভানেত্রী ডি পুরন্দেশ্বরীর নাম স্পিকারের পদের জন্য এগিয়ে আছে।
পুরন্দেশ্বরী তেলুগু দেশমের প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাওয়ের মেয়ে। সেই হিসেবে তিনি চন্দ্রবাবুর শ্যালিকা। শ্যালিকার জন্য জামাইবাবু নিজের দাবি থেকে সরে আসতে পারেন বলে বিজেপি নেতাদের আশা। উল্টো দিকে কংগ্রেস চন্দ্রবাবুকে জানিয়েছে, তেলুগু দেশম স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সমর্থন করতে পারে।
রবিবার চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টির দুই সংসদ সদস্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রামমোহন নাইডু পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আর চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি শপথ নেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। তেলুগু দেশমের দাবি ছিল পরিকাঠামোসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়।
সেই দাবি মেনে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তেলুগু দেশমকে বিমান মন্ত্রণালয় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রশেখর পেম্মাসানিকে গ্রামোন্নয়ন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
জানা গেছে, এর পরও চন্দ্রবাবু লোকসভার স্পিকারের পদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তার সঙ্গে এনডিএর আহ্বায়কের পদও দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু। তার যুক্তি, অটলবিহারি বাজপেয়ি সরকারের সময়েও তেলুগু দেশমের জিএমসি বালাযোগীকে লোকসভার স্পিকারের পদ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অতীতের মতো এনডিএর আহ্বায়কের পদও দাবি করছেন চন্দ্রবাবু।
বুধবার চন্দ্রবাবু অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মোদি। রবিবার চন্দ্রবাবু দিল্লিতে মোদির শপথগ্রহণে ছিলেন।এনডিএতে বিজেপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ-ও স্পিকারের পদ পেতে আগ্রহী।
লোকসভায় তেলুগু দেশমের ১৬ জন ও জেডিইউ-এর ১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মোদি সরকারের দুই দলেরই সমর্থন প্রয়োজন। নীতীশ-নাইডুর আশঙ্কা, ভবিষ্যতে এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের আঁচ পেলে বিজেপি তাদের দল ভেঙে দিতে পারে। দলছুট সংসদ সদস্যরা বিজেপিতে যোগ দিলে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী তাদের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা স্পিকারের হাতেই থাকে। এনডিএ থেকে সরে গেলেও স্পিকারকে পদ থেকে সরাতে লোকসভার ৫০ শতাংশ সদস্যের সমর্থনে প্রস্তাব আনতে হয়।
আর এক শরিক একনাথ শিণ্ডের শিবসেনা জানিয়েছে, তাদেরও একটি পূর্ণ মন্ত্রীর পদ দিতে হবে। শুধু একটি প্রতিমন্ত্রীর পদে শিণ্ডের সেনারা খুশি নন। সংসদ সদস্য শ্রীরঙ্গ বার্নে বলেছেন, ‘তাদের পূর্ণমন্ত্রীর পদ চাই। সাতজন সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের একটি মাত্র প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এইচ ডি কুমারস্বামীর জেডিএসের দুইজন সংসদ সদস্যতেই তারা একটি পূর্ণ মন্ত্রীর পদ পেয়েছে। এ ছাড়া বিহারের জিতনরাম মাঝি তার দলের একাই সংসদ সদস্য। তিনিও পূর্ণমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন।’
মোদির শপথের সময় রাষ্ট্রপতি ভবনে রহস্যময় প্রাণী নিয়ে তোলপাড়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।