টেস্টোস্টেরন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ হরমোন হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এর ব্যবহার ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে—এমন সতর্কতা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সাম্প্রতিক সময়ে পেশি বৃদ্ধি, কর্মক্ষমতা ও যৌনশক্তি বাড়ানোর আশায় টেস্টোস্টেরন থেরাপির অপব্যবহার বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকদের মতে, টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (টিআরটি) মূলত হাইপোগোনাডিজমে আক্রান্ত, অর্থাৎ যাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি রয়েছে, কেবল তাদের জন্যই নির্ধারিত। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই স্বাভাবিক মাত্রা থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে টেস্টোস্টেরন গ্রহণ করছেন। অনিবন্ধিত সাপ্লিমেন্ট, চটকদার বিজ্ঞাপন ও কিছু জিমে শারীরিক গঠন উন্নতির নামে এই অপব্যবহার বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্টোস্টেরনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার প্রজনন স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এতে অণ্ডকোষের আকার ছোট হওয়া, শুক্রাণু উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন অপব্যবহারে যকৃতের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়া, মানসিক অস্থিরতা, আক্রমণাত্মক আচরণ, বিষণ্নতা, অনিদ্রা, ব্রণ, চুল পড়া এবং প্রোস্টেট সমস্যার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। রক্ত ঘন হয়ে যাওয়ার (পলিসাইথেমিয়া) কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিও বাড়ে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্টদের পরামর্শ, টেস্টোস্টেরন একটি শক্তিশালী হরমোন হওয়ায় এর ব্যবহার অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হতে হবে। তারা মনে করেন, সুষম খাদ্য, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই নিরাপদভাবে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



