কুকুর যে কতখানি প্রভুভক্ত হয় তার প্রমাণ মিলেছে অসংখ্যবার। হাচিকোর কথা নিশ্চয়ই জানেন? জাপানি হাস্কি প্রজাতির এই কুকুরটির বিশ্বস্ততা এবং প্রভুর প্রতি ভক্তি এতটাই ছিল, যা এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সিনেমাও তৈরি হয়েছে জাপানি এই কুকুরটিকে নিয়ে। তবে আজ যে কুকুরটির কথা বলছি তার বীরত্বও কম নয়। তার জন্য পুরো একটি শহরের মানুষ প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল।
ঘটনাটা ১৯২৫ সালের। জাপানের একটি শহরে হঠাৎ করে এই ডিপথেরিয়া রোগের মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি শিশু মারা যায় এবং বাকিদের অবস্থা অনেক খারাপ। শহরের একমাত্র হাসপাতালে ডিপথেরিয়ার অ্যান্টি-টক্সিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
এজন্য ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দূরের একটি শহর থেকে সিরাম আনার দরকার পড়ে। উন্নত সভ্যতা থেকে ওই শহরটি অনেক দূরে ছিল। তাই কুকুরের স্লেডে করে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা হতো। তার মধ্যে শুরু হয় ভয়াবহ তুষার ঝড়।
এই তুষার ঝড়ের মধ্যে কুকুর চালিত গাড়িতে করে সিরাম নিয়ে আসা হয়। ওই সময় যে নির্দিষ্ট কুকুর দায়িত্বে ছিলেন সে চমৎকারভাবে দায়িত্ব পালন করে। ওই কুকুরের নাম দেওয়া হয় টোগো। টোগো কুকুরটি একাই ২৩৪ মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিল।
অঞ্চলের বরফের উপর দিয়ে কুকুরের দলকে যেতে হয়েছিল। পথে ছিল 5000 ফুট উচ্চতার বরফ ঢাকা পাহাড়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিন দিনের মধ্যেই ফেরত আসা সম্ভব হয়েছিল। ঘটনাটি ১৯২৫ সালের ’সিরাম রান’ নামে বিখ্যাত হয়েছে।
এ অভিযানের নায়ক টোগো কুকুরটি এ কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। এরপর টোকো কুকুরটি যতদিন বেঁচে ছিল খ্যাতিসহকারে বেঁচে ছিল। এটিকে বিশ্বের সবথেকে হিরোইক অ্যানিমেল নামে আখ্যায়িত করা হয়। তার কাহিনী নিয়ে ২০১৯ সালে ডিজনি একটি সিনেমা রিলিজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।