বুধের পৃষ্ঠ প্রায় পৃথিবীর চাঁদের পৃষ্ঠের মতোই। উল্কা ও ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ক্ষতবিক্ষত। আছে প্রচুর গর্ত। বুধের পৃষ্ঠের বেশির ভাগ আমাদের চোখে ধূসর-বাদামী রঙের দেখায়। গ্রহটির গায়ে উজ্জ্বল রেখাগুলো মূলত ‘ক্রেটার রশ্মি’। গ্রহাণু বা ধূমকেতু বুধের পৃষ্ঠে আঘাত করলে এ রশ্মি তৈরি হয়। এর প্রভাবে নির্গত হয় বিপুল শক্তি। পৃষ্ঠে তৈরি হয় বড় আকারের গর্ত।
বুধের উত্তর মেরুতে বরফ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ মেরুতে আছে বিশাল গর্ত। স্থায়ীভাবে সেখানে ছায়া থাকে। এই ছায়া অংশে বরফ জমে থাকতে পারে। বুধে বায়ুমণ্ডল নেই। তার আছে একটি পাতলা এক্সোস্ফিয়ার বা বহিঃমণ্ডল। সৌরবায়ু এবং উল্কা পতনের ফলে পৃষ্ঠ থেকে বিস্ফোরিত পরমাণু দিয়ে গঠিত এই বহিঃমণ্ডল। যার বেশিরভাগই অক্সিজেন, সোডিয়াম, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ও পটাসিয়াম দিয়ে গঠিত।
এবার একটা মজার তথ্য দিই। ২০১২ সালে মরোক্কোর এক বাজারে একটি সবুজ উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়। গবেষকরা এর গঠন বিশ্লেষণ করে মনে করেন, এটি বুধ গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ছিটকে এসেছে। বুধের উদ্দেশ্যে নাসার পাঠানো দ্বিতীয় মহাকাশযান মেসেঞ্জারের পাঠানো তথ্যের সঙ্গে এ উল্কাপিণ্ডের তথ্য মিলে যায়। ২০০৪ সালের এ নভোযান বুধের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।