বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বুধ গ্রহ নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই বিজ্ঞানীদের। সৌরজগতের অন্যতম রহস্যজনক এই গ্রহটি সূর্যের এত কাছে কীভাবে রয়েছে, কীভাবেই বা তার নিজস্ব চৌম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে- এই নিয়ে গবেষণা চলছে নিরন্তর। তার মধ্যেই সামনে এল আশ্চর্য তথ্য।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বুধ গ্রহের পৃষ্ঠের নিচে কয়েকশ মাইল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে হীরের পুরু স্তর। লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ইয়ানহাও লিন, বেইজিং-এর সেন্টার ফর হাই-প্রেশার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের একজন স্টাফ সায়েন্টিস্ট এবং গবেষণার সহ-লেখক বলেছেন যে বুধে উপস্থিত অত্যন্ত উচ্চ কার্বন সামগ্রী দেখে আমরা বুঝতে পেরেছি যে সম্ভবত এর অভ্যন্তরে বিশেষ কিছু রয়েছে ।
জানা গেছে, বুধ গ্রহে প্রচুর পরিমাণে গ্রাফাইট রয়েছে, যা কার্বনেরই আর এক রূপ। নাসা এ কথা নিশ্চিত করেছে। কারণ আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসার মেসেঞ্জার মিশন বুধের পৃষ্ঠে গ্রাফাইটের কালো দাগ দেখেছিল। বুধে কার্বনের উপস্থিতি বিজ্ঞানীদের গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
গবেষকরা বলছেন যে হীরের স্তরটি বুধের পৃষ্ঠের প্রায় ৪৮৫ কিলোমিটার নিচে রয়েছে।এই নিয়ে গবেষণাও চলছে বহু। তেমনই গবেষণা চালাচ্ছিলেন বেজিংয়ের সেন্টার ফর হাই প্রেসার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের বিজ্ঞানী ইয়াংহো লিন। তাতেই তিনি এমন কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন, যা বুধের হীরক সম্ভারের সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে। আর পাঁচটা গ্রহের মতোই লাভায় পূর্ণ মহাসাগর ঠান্ডা হয়ে জন্ম হয়েছে বুধের। কিন্তু বুধের ওই মহাসাগর কার্বন এবং সিলিকেট সমৃদ্ধ ছিল বলে জানা যায়। সেই ধাতব উপাদানগুলি জমাট বাঁধে প্রথমে, তার পরে তাকে ঘিরে স্ফটিকের আকারে জমা হয় কার্বনের লাভা। এই কার্বনের লাভা আসলে হীরে ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী ইয়াংহো। যদিও এই বিপুল পরিমাণ হীরে খনন করা অসম্ভব। তবে এই হীরেই মহাবিশ্বের অনেক গভীর রহস্যের উত্তর দিতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।