স্পোর্টস ডেস্ক : একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে চারটি পদ্ধতিতে সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাইড হবে কোনো দল :-
১/নাম্বার অফ উইন্স (জয়ী ম্যাচ সংখ্যা)
২/নেট রান রেট
৩/হে’দ টু হেড (মুখোমুখি ফলাফল)
৪/র্যাংকিং
★নাম্বাইন্স :- র অফ উযদি একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হয় তাহলে যে দলের ম্যাচ জয় বেশি সে দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করার সুযোগ পাবে।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৮, এছাড়া বাংলাদেশ আরেকটি জয় পেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১০। অপরদিকে ইংল্যান্ড বাকি দুই ম্যাচের একটিতে হেরে ও একটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট অর্জন করলো। এখন বাংলাদেশের নেট রান রেট যদি বেশিও হয়, তারপরেও সেমিফাইনালে যেতে পারবেনা, কারন বাংলাদেশের দুই পয়েন্ট অর্জিত হয়েছে বৃষ্টি বাধায় পণ্ড ম্যাচ থেকে এবং বাংলাদেশের জয়ী ম্যাচের সংখ্যা ৪ টি কিন্তু ইংল্যান্ডের কোনো ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত না হওয়ায় তাদের ১০ পয়েন্ট অর্জিত হয়েছে ৫ জয়ে, অর্থাৎ ইংল্যান্ডের নামবার অফ উইন্স (জয়ী ম্যাচ সংখ্যা বেশি), তাহলে ইংল্যান্ডই সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাইড হবে।
২/নেট রান রেট -রানঃওভার অনুপাত। নিজেরা কত রান রেট অর্জন করে এবং প্রতিপক্ষের কাছে কত রান রেট হারায়, সেইহিসেবে টূরনামেন্টে যে রান রেট থাকে, সেটাই নেট রান রেট (NRR).
পয়েন্টের পরে জয়ী ম্যাচ সংখ্যায় সমান হলে তখন এই নেট রান রেট দিয়ে সেমিফাইনালের কোয়ালিফাইড করা হবে। যেই দলের নেট রান রেট বেশি সেই দল কোয়ালিফাইড হবে।
উদাহরণস্বরূপ – শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পয়েন্ট ও জয়ী ম্যাচ সংখ্যা সমান। কিন্তু বাংলাদেশের নেট রান রেট বেশি, তাহলে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাইড করা হবে।
৩/হেড টু হে’দ (মুখোমুখি ফলাফল) :- যদি পয়েন্ট, জয়ী ম্যাচ সংখ্যার পরে কোনোক্রমে নেট রান রেটও (NRR) সমান হয় (যদিও সম্ভাবনা একেবারে কম, তারপরেও অবাস্তব নয়), তবে মুখামুখি লড়াইয়ে যে দল জয়ী সে দলই কোয়ালিফাই করবে।
উদাহরণস্বরূপ – পাকিস্তানের বিপক্ষে যদি বাংলাদেশে জিতে, এবং দুই দলের পয়েন্ট, ম্যাচ জয়, নেট রান রেট সমান হয়। তাহলে দুই দলের মধ্যে লড়াইতে/মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জয়ী বলে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে কোয়ালিফাইড হবে।
৪/আইসিসি র্যাংকিং – পয়েন্ট, জয়ী ম্যাচ সংখ্যা, নেট রান রেটের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফল দিয়েও কোনো দল নির্বাচিত করা না যায়, তবে ওইসময় সর্বশেষ আইসিসি র্যাংকিংয়ে যে দলের অবস্থান উপরে সেই দল কোয়ালিফাইড হবে !
উদাহরণস্বরূপ – বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান এই তিন দলের পয়েন্ট সমান, জয়ী ম্যাচ সংখ্যা সমান, নেট রান রেটও সমান হয়ে গেছে। এখন তিন দলের মুখোমুখি হিসাব কিভাবে করবে ?
যেমন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এখানে দেখা যায় বাংলাদেশ সবার নীচে এবং ইংল্যান্ডকে হারানোতে পাকিস্তান হেড টু হেডে এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় তাহলে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেড টু হেডে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলো, কিন্তু বাংলাদেশকে হারানোতে আবার ইংল্যান্ড এগিয়ে গেলো, তাছাড়া ইংল্যান্ডকে হারানোতে আবার পাকিস্তান এগিয়ে গেলো।
এইভাবে ত্রিমুখী হার/জয়ে একে অপরের চেয়ে এগিয়ে থাকায় আসলে সবাই সমান হেড টু হেডে।
এইরকম প্যাঁচ লাগলে হেড টু হেডেও যখন দল নির্ধারিত না করা যায় তাহলে আইসিসির র্যাংকিং অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। এই তিন দলের মধ্যে যেহেতু ইংল্যান্ড অন্যদের চেয়ে এগিয়ে অর্থাৎ ইংল্যান্ডকে কোয়ালিফাইড করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।