ইউনেস্কোর সহায়তায় ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব বই দিবস পালন করা হয়। এর আগে শুধুমাত্র দুনিয়ার একটি দেশে বই দিবস পালন করা হতো। আর সে দেশ ছিল ইউরোপের স্পেন। ১৯৯৫ সালের পর থেকে ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে আসছে।
বই পড়ার গুরুত্ব বা বই পড়ার মাহাত্ম্য নিয়ে অতীতে অনেক আলোচনা হয়েছে। বর্তমানেও এটি নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। ইউনেস্কো বরাবরই বিশ্বব্যাপী বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। দুনিয়ায় এরকম অনেক মহত হৃদয়ের মানুষ রয়েছেন যাদের সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না।
কিন্তু তাদের লেখা বই পড়ার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। বই এ উল্লেখ করা তাদের শব্দ এবং বাক্যের সাথে আমরা পরিচিত হতে পারি। বই পড়ার মাধ্যমে তাদের চিন্তাধারা এবং মানসিকতার সাথে আমরা পরিচিত হতে পারি।
বই দিবসের পাশাপাশি ২৩ এপ্রিল একই সাথে কপিরাইট বা গ্রন্থসত্তা সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বই পড়া বৃদ্ধি করতে অনেক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপহার হিসেবে বই দেওয়া আমাদের দেশের সমাজের রীতির মধ্যেই পড়ে।
বই পড়ার মানসিকতা বিকাশে দিবসটি সুষ্ঠুভাবে পালন করা উচিত। সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতি বছর বই দিবসে জাতিসংঘ বইয়ের রাজধানী ঘোষণা করে থাকে। পরবর্তী বছরে ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গ হবে বইয়ের রাজধানী। চলতি বছরে ঘানার আক্রা বইয়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে মেক্সিকোর একটি শহর বইয়ের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। একটা সময় ছিল যখন রাত জেগে বাংলাদেশের তরুণরা বইয়ের পাতায় ডুবে থাকতো। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে তরুণরা বই পড়াকে বেছে নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।