প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সামাজিক ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি ভিন্ন। এজন্য আপনি চাইলেই নিমেষেই হারিয়ে যেতে পারবেন না। তবে জাপানের মানুষ চাইলে একেবারে গায়েব হয়ে যেতে পারে। ব্যস্তময় জীবন এবং কঠিন বাস্তবতা থেকে একেবারে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে।
জাপানে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এভাবে হারিয়ে যায়। তাদের দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ এভাবে গায়েব হয়ে যায়। ব্যাপারটা এরকম যে, তারা একেবারে যেনো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কেননা কোনদিনও আর এসব ব্যক্তিদের খোঁজ পাওয়া যায় না।
দেশটির সংস্কৃতি এবং সামাজিক ব্যবস্থা এরকম যে, জীবনের চাপে যদি কেউ হারিয়ে যেতে চায় তাহলে সে সত্যিই তা করতে পারে। জাপানের লোকেরা রাতের আঁধারে পরিবার, সমাজ, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, চাকুরি, ব্যবসা সবকিছু ছেড়ে নিমিষে হারিয়ে যেতে পারে।
হয়তো অন্য কোন অঞ্চলে তারা একাকী পরিবেশে নতুন জীবন শুরু করে। নিজের পরিচয় গোপন রেখে অনেকেই কয়েক দশকের জন্য উধাও হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়ার পিছনে একজন ব্যক্তির একেক রকম কারণ রয়েছে।
বিরহ, প্রেমহীন জীবন, ঋণের দায়ে জজর্রিত অবস্থা, মানুষের সাথে খারাপ সম্পর্ক, ব্যাংক লোন, পারিবারিক অবস্থা সবকিছুই তাদের এ পথে চলতে বাধ্য করে। এ বিষয়টি সেখানে একটি অভ্যাসের মতো পরিণত হয়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান এই কাজে সহায়তা করে থাকে।
এসব প্রতিষ্ঠান নতুন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা এবং কাজ করার ব্যবস্থা করে থাকেন। অনেকেই নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে না বলে গায়েব হয়ে যান। ৯০ দশকে জাপানের অর্থনীতিতে বড় ধ্বস নামে। তখন চাকরি হারানো এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে এ ধরনের সাংস্কৃতি গড়ে উঠতে থাকে।
জাপানে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করা হয় বলে এক কাজটি করা বেশ সহজ। এসব ব্যক্তিরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন। তারা অপরাধমূলক কাণ্ডে না জড়ালে পুলিশ তাদের কোন কিছুতেই হস্তক্ষেপ করে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।