আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় নরসুন্দররা কিছুদিন ধরে মানুষের চেয়ে কুকুর নিয়ে বেশি ব্যস্ত। এতদিন শুধু কুকুরদের চুল কাটানোর দোকান খোলা ছিল, এখন মানুষের সেলুন খুললেও সেখানে যাওয়া অনেক কঠিন।
করোনা-সংকট শুরুর পর থেকেই বলতে গেলে অস্ট্রিয়ার হেয়ার ড্রেসারদের ‘বড় ক্রেতা’ হয়ে গেছে কুকুর। করোনায় প্রথম দফায় লকডাউনে সেখানে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সেলুন। লকডাউনন পরবর্তী স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার অনুমতি মিলে। কিন্তু সেখানে মানুষের নিয়ম কড়া, কুকুরের সহজ৷ মানুষকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হয়, কুকুরের বেলায় তার কোনো বালাই নেই৷ তাই যাদের কুকুর আছে তারা নিজেরা চুল না কাটিয়েও প্রিয় কুকুরের চুল কাটিয়ে সৌন্দর্য ধরে রাখছেন।
ভিয়েনার এক স্থায়ী বাসিন্দা জানান, গত এক বছরে তার ১০ বছর বয়সি প্রিয় কুকুর অনেকবার সেলুনে গেলেও তার ঘরের আর কেউ একবারও যেতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘গত লকডাউন থেকেই আমার চুল কেটে দিচ্ছে আমার স্ত্রী। এখন আমাদের বড় চিন্তা হলো কুকুরটাকে সুন্দর রাখা।’
অস্ট্রিয়ায় দ্বিতীয় দফার লকডাউন সবে শেষ হয়েছে। এ পর্যায়ে তিন সপ্তাহ মানুষের সব সেলুন বন্ধ থাকলেও কুকুরদের সেলুন শেষ দু সপ্তাহ পুরোপুরি খোলা ছিল।
সেখানে এখন সব সেলুনই খোলা। তবে মানুষকে যেতে হয় করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে। সেই সার্টিফিকেট আবার ৪৮ ঘণ্টার চেয়ে পুরোনো হলে হবে না। অন্যদিকে সারা দেশে শুরু হয়েছে টিকা দেয়ার হিড়িক। এর মাঝে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে চুল কাটাতে যাওয়া হচ্ছে না অনেকের।
ভিয়েনার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শুধু আমার কুকুরটাই সেলুনে গিয়ে সব সেবা নিয়েছে৷ তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমি নিজে হেয়ারড্রেসারের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাইনি।’
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।