সোনার চেয়েও বেশি দাম পাখির একটি পালকের। সুদর্শন এই পাখিটি তার চমৎকার গানের গলা দিয়ে পথচারীদের মুগ্ধ করত। সম্প্রতি এক নিলামে প্রায় ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এর একটি পালক। কেন এতো চড়া দামে বিক্রি হলো পাখিটির পালক? পাখি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। পাখিরা যদি না থাকত, তাহলে এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস করাটাই দায় হয়ে পড়ত।
প্রকৃতিতে মানুষের বিস্তৃতি বাড়ার পাশাপাশি বিলুপ্তি ঘটছে নানা প্রজাতির পাখির। এমনই বিলুপ্ত হওয়া নিউজিল্যান্ডের ওয়াটেলবার্ড প্রজাতির একটি পাখির নাম হুইয়া।
পাখি ছাড়া আমাদের প্রকৃতি কল্পনা করা যায় না। প্রকৃতিতে পাখির অবদান অনেক বেশি। যদিও অনেক প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্তির পথে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের হুইয়া প্রজাতিরে পাখিটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে।
সর্বশেষ ১৯০৭ সালে হুইয়া প্রজাতির পাখিটির দেখা গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে ১৯২০ সালের সময় এ পাখিটি জীবিত ছিল। সুদর্শন এ পাখিটি তার চমৎকার গানের গলা দিয়ে পথচারীদের মুগ্ধ করতে পারত। এটার গায়ের রং ছিল কালো।
এটার লম্বা লেজের শেষ অংশে সাদা ছোপ ছিল। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের একটি নিলামে হুইয়া পাখির একটি পালক বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এটি হবে ৩৫ লাখ টাকা।
নিলামে এখন পর্যন্ত যত পালক বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে এটি সবথেকে দামি পালক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিক্রি হওয়া এ পাখির পালকের ওজন ছিল মাত্র ৯ গ্রাম। প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম এখন ১২৭ মার্কিন ডলার। সেখানে প্রতি গ্রাম হুইয়া পাখির পালকের দাম হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন ডলারের উপরে।
এ কারণে বলা যায় যে, স্বর্ণের থেকে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে পাখিটির পালক। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী হুইয়া পাখির পালকের বেশ কদর ছিল। নিউজিল্যান্ডের অনেকেই পাখিকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করে।
গোত্র প্রধান এবং মর্যাদাবান ব্যক্তিরা এ পাখির পালক পরিধান করতে পারতেন। নিউজিল্যান্ড এ ইউরোপিয়ানরা আসার পর হুইয়া পাখির শিকার অনেক বেড়ে যায়। ফলে ধারণা করা হয় যে, ইউরোপীয়দের আগ্রাসী মনোভাবের ফলে পাখিটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।