জুমবাংলা ডেস্ক : সমুদ্র মানেই রহস্য। গভীর সমুদ্রে কালো অন্ধকারে কোন কোন প্রাণীদের বাস তার কুলকিনারা আজও করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। গভীর সমুদ্রে এমনও অনেক প্রাণী আছে যাদের নামও কখনো শুনেননি। এরা দেখতে যেমন অদ্ভুত তেমনি এদের বৈশিষ্টও ভিন্ন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এত কম তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে তারা।
[২] একদল গবেষক গভীর সমুদ্রে গিয়ে এক আশ্চর্য প্রাণী খুঁজে বের করেছেন। যা অজানা ছিলো। এদের নাম হার্প স্পঞ্জ। দেখে মনে হবে কোন সামুিদ্রক উদ্ভিদ বা প্রবাল হবে হয়তো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জেনেছে এরা আসলে সামুদ্রিক প্রাণী।
[৩] হার্প পঞ্জ নামের এই প্রাণী সমুদ্রের সাড়ে ১০ হাজার ফুট থেকে সাড়ে ১১ হাজার ফুট গভীরে বাস করে। এ প্রাণীরা তাদের থেকে অনেক বড় এবং শক্তিশালী প্রাণীদের শিকারে পরিনত করে খেয়ে ফেলতে পারে।
[৪] গাছের ডালের মতো এ প্রাণীরা তাদের শিকারকে আকরে ধরে রাখে যতক্ষণ না পর্যন্ত হার্প স্পঞ্জ ওই প্রাণীর দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে আমিষ শুষে নেয়া শুরু করে।
[৫] প্যাসিফিক ভাইপার ফিশ এদের মুখ অনেক বড় দাঁতগুলো সুঁই এর মতো এরা শিকারী মাছ। সমুদ্রের পাঁচ হাজার ফুট গভীরে এদের বাস। শিকারের সময় এরা হা করে থাকে ছোট ছোট মাছ এদের মুখে ঢুকতে থাকে। দাঁতগুলোকে তারা খাঁচার মতো ব্যবহার করে।
[৬] গ্রীনল্যান্ড হাঙর সমুদ্রের ৭ হাজার ফুট গভীরে বসবাস করে। আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় যে গতিতে হাঁটি এরা তার চেয়েও দ্বীগুন ধীর গতীতে এরা চলাচল করে। এদের গতিবেগ ঘণ্টায় ১.২ কি.মি। এরা এতো ধীরে হাঁটে কারণ এরা শক্তি সঞ্চয় করে। এরা ৪০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
[৭] দৈতাকৃতির আইসোপড, এরা সাগরের একে বারে তলদেশে বসবাস করে। এরা ১ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এদের দেহ এমন ভাবে তৈরি যে এরা ৫ বছর খাবার না খেয়েও থাকতে পারে। সূত্র : একাত্তর টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।