মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে এরকম মানুষ কম খুজে পাওয়া যাবে যারা ‘ হর্নেট স্পুক লাইট ‘ এর গল্প শুনেনি। সেখানে ওকলাহোমা সীমান্তের নিকট অবস্থিত হর্নেট গ্রাম। হর্নেট গ্রাম মূল শহর থেকে একটু দূরে হলেও এক ভূতুড়ে আলো নিজ চোখে দেখতে মানুষ ভিড় করেন এখানে।
ঐ গ্রামের স্থানীয়রা হর্নেট স্পুক লাইটের গল্প শুনে বড় হয়েছেন। মিসৌরির হাইওয়ে-৬৬ দিয়ে ঐ গ্রামে আপনাকে যেতে হবে। এই রাস্তায় নাকি দেখা যায় ভূতুড়ে এক আলোকচ্ছটা, যার গল্প জন্ম থেকে জন্মান্তর ধরে বলে আসছে স্থানীয়রা।
অনেকটা গোলাকার এই আলো বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে, তা-ও কেবল রাতে। আবার সব রাতে দেখাও যায় না তা। এজন্য গালভরা এক নামও জুটে গেছে এই রাস্তার- ডেভিল’স প্রোমেনেড (Devil’s Promenade)।
যারা দেখেছেন তাদের মতে, এর দিকে এগিয়ে গেলেই বেমালুম উবে যায় এই স্পুক লাইট!
স্পুক লাইট হর্নেট থেকেই সবচেয়ে ভালো দেখা যায়, এজন্য এর নামের সাথে জড়িয়ে গেছে হর্নেট গ্রাম। তবে আদতে এর উপস্থিতি থাকে মিসৌরি সীমান্তের ঠিক ওপারে ওকলাহোমার কুইপা শহরের (Quapaw) সামনে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও লেখক ভ্যান্স র্যান্ডলফ ১৯৪৭ সালে এক লেখায় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিন তিনবার এই আলো দেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ডিমের সমান থেকে শুরু করে বড় বলের মতো আকার ধারণ করতে চোখের সামনেই দেখেছেন এই হলুদাভ এই লাইটকে।
তার বর্ণনায় এমনও পাওয়া যায় যে, কোনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর চোখের সামনে এই আলো তিন-চার ভাগ হয়ে গেছে, এমনকি রঙ পরিবর্তন হয়ে লাল, নীল, এমনকি সবুজ হয়েছে বলেও জানায় তারা। কেউ কেউ তো বলেই বসেন এর থেকে চারদিকে আলোর বিকিরণ ছড়াতে দেখেছেন তারা, হালকা উত্তাপও অনুভব করেছেন।
কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, আশেপাশের জলাভূমি থেকে উৎপন্ন মার্শ গ্যাস স্পুক লাইটের কারণ হতে পারে। সমস্যা হলো- মার্শ গ্যাস এরকম আলো তৈরি করতে পারলেও এজন্য কোনো প্রভাবকের প্রয়োজন, নিজে নিজে এই গ্যাস জ্বলতে পারে না।
আরো বড় কথা হলো মার্শ গ্যাস থেকেই যদি স্পুক লাইটের সৃষ্টি হতো, তাহলে বৃষ্টি-বাতাসে নিভে যাবার কথা সেটা, যা হয় না। যদি চান, চলে যেতে পারেন ডেভিল’স প্রোমেনেডে। ভাগ্য ভালো থাকলে অন্ধকার কোনো রাতে পেয়ে যেতে পারেন স্পুক লাইটের দেখা! তবে দুর্বলচিত্তের হয়ে থাকলে হয়তো না যাওয়াই ভালো হবে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।